Skip to main content

মাদার টেরেসা

 সূচনা :- অতি অসহায়ের আশ্রয়ের জননী এবং দরিদ্রদের একান্ত আপনজন যিনি তিনি আমার বিশ্ববন্দীতা মাদার টেরেসা।




জন্ম ও বংশোপরিচয় :- মাদার টেরসার জন্ম যুগোশ্লাভিয়ার স্কোপজেপ্লেব ১৯১০ সালে ২৬শে আগস্ট। তাঁর বাল্য কালের নাম ছিল এগনেস গোনাস্কা বোজাস্কিহিউ।

শিক্ষা ও কর্মজীবন :- মাদার টেরেসার বাল্যকালেই তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় সরকারী বিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই মাত্র ১২-১৩ বছর বয়সেই সন্ন্যাসিনী দের সেবাব্রতের আদর্শ এ তাঁর মন আগ্রহী হয়ে ওঠে ।১৯২৯ সালে ১৯ বছর বয়সে শিক্ষকতার কাজ নিয়ে কলিকাতায় চলে আসে।কলিকাতার এন্টালি সেন্ট মেরিজ স্কুলে তিনি শিক্ষকতা করেন। যদিও বেশিদিন শিক্ষকতার কাজ তাঁর ভালো লাগল না। ১৯৩৯ সালে তিনি দারিদ্র ও অসহায় মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করেন।১৯৪৬ সালে 'মিনারিজ অব চ্যারিটি' স্থাপন  করেন।ক্রমে ২০ টি অনাথ অশ্রম,২ টি দাতব্য চিকিৎসালয় ৬০ টি স্কুল,৫৫ টি কুষ্ট চিকিৎসালয় স্থাপন করেন।তিনি বিশ্বের নানা দেশ থেকে অজস্র পুরস্কার পেয়েছেন । ফিলিপা ম্যাগসেসাই ও গুড সামারিটান পুরস্কার,কেনেডি ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার, ভারত সরকারের পদ্মশ্রী ও ভারতরত্ন খেতাব, পোপ জন শান্তি পুরস্কার ১৯৭৯ সালে ভারত নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।



উপসংহার :- তিনি জাতিধর্ম নিবিশেষ সকল স্তরের মানুষের দ্বারা জগজ্জননীর সেবা সম্মান পান।

১৯৯৭ সালে র ৫ সেপ্টেম্বর তিনি ইহলোক করেন।

Comments

Popular posts from this blog

ছোটদের গল্প (এক কৃপণের ধন )

 এক মহা কৃপণ লোক ছিল। একদিন সে তার সমস্ত বিষয় সম্পত্তি বিক্রি করে, শহর থেকে বেশ বড় একটা সোনার দলা কিনে নিয়ে এল। তারপর সেটি ঘরে না রেখে, লুকিয়ে তার বাগানের এক কোণে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে রাখল। এরপর থেকে রোজ সকাল হলেই, সেই কৃপণ তার বাগানে গিয়ে, চুপি চুপি গর্তের মাটি সরিয়ে সোনার দোলাটি দেখে, আবার মাটি চাপা দিয়ে আসত। সোনার দোলাটি ঘরে না রেখে মাটিতে পুঁতে কৃপণ মনে মনে খুব নিশ্চিন্ত হয়েছিল। এই ভাবে তার কেটে গেল অনেক দিন। হটাৎ একদিন সেই কৃপণের বাড়ির ধূত চাকর দেখে ফেলল সেই কান্ড। রোজ সকালে মনিবকে বাগানের মাটি খুঁড়তে দেখে তার ভীষণ কৌতূহল হল। গর্তের ভেতর কি আছে, তা দেখার জন্য সে সুযোগ খুঁজতে লাগল। একদিন কৃপণ কিছু কেনাকাটি করতে শহরে গেল। বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হল। সেই ফাঁকে চাকরটি বাগানে গিয়ে গর্তের মাটি সরিয়ে দেখতে পেল সোনার দলাটি। এতো বড়ো একটি সোনার দলা হাতে পেয়ে চাকরটির ভীষণ লোভ হল। মনিব ফেরার আগেই সে চুপি চুপি সোনার দলাটি নিয়ে পালিয়ে গেল। রোজকার মতো, পরেরদিন সকলে কৃপণ গর্তের কাছে গিয়ে দেখল, গর্ত খালি। সেখানে সোনার দলাটি নেই। কৃপণ বুক চাপড়ে কাঁদতে লাগল। তার কান্না শুনে প্রতিবেশিরা সবাই ছু

জনগণ মন (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

 জনগণ মন অধিকনাক ও জন হে।  ভারত ভাগ্য বিধাতা।।  পাঞ্জাব ব সিন্ধ গুজরাত মারাঠা।  দাবির ও উৎচলো গঙ্গা।  তব শুভ  অসিস  মাঘে ।। গা হে তব জয় গাথা।  জনগণ মঙ্গল ও গায়ক ও  জয় হে ।। ভারত ভাগ্য বিধাতা জয় হে জয় হে জয় হে । জয় জয় জয় জয় জয় হে। ।