Skip to main content

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 



সূচনা :- বিশ্বেবরেণ্য কবি, সঙ্গীত শিল্পী , ছোট গল্পের জনক কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনেক প্রতীভার অধিকারী ।

জন্ম :-বাংলা ১২৬৮ ২৫শে বৈশাখ (ইংরেজি ১৮৬১,৭ ই মে) উত্তর কলিকাতার জাঁড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মাতার নাম সারদা দেবী।



শিক্ষা :- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আট বছর বয়সে প্রথমে ওরিএন্টালমিনারী সামিনারী ও পরে নর্মাল স্কুলের ভার্ত্তি হয়েছিলেন।কিন্তু স্কুলের পরিবেশে তিনি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন। তিনি বাড়িতেই গৃহ শিক্ষকদের কাছ থেকে পাঠশুনা করেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে দাদার সঙ্গে ইংল্যান্ডে গিয়ে ইংরেজি ভাষায় বিশেষ বুৎপত্তি অর্জন করেন।

কর্ম সাহিত্য জীবন :- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাল্যকাল থেকেই কবিতা লিখতে শুরু করেন। মাত্র ১২ বছর বয়সে প্রথম মুদ্রিত আকারে প্রকাশ হয় তাঁর কবিতা। তিনিসারা জীবন অসংখ্য গান, কবিতা, প্রবন্ধ, ছোট গল্প, নাটক লিখে গেছেন। তিনি অসংখ্য ছবিও  এঁকেছেন , তিনি একজন সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে ও সুনাম অর্জন করেছিলেন। নিজের লেখায় সুর দিয়েছেন। নাটকেও অভিনয় করেছেন। ১৯১৩ সালে তিনি 'গীতাঞ্জলি ' কাব্যগ্রন্ত ইংরাজি তে লিখে পৃথিবীর সেরা সন্মান নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেশের প্রতি টান ও ছিল অগাধ। তিনি সাম্প্রদায়িক ঐক্য রক্ষার জন্য 'রাখিবন্ধন ' প্রথা চালু করেন।
পাঞ্জাবের জালিয়ানাওয়ালাবাগের হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে তিনি ইংরেজদের দেওয়া 'নাটক ' উপাধি বর্জন করেন।

আমাদের জাতীয় সঙ্গীত 'জনগণ - মন - অধিনায়ক ' স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি ' কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরই লেখা।

উপসংহর :- বাংলার ১৩৪৮ সালের ২২ শে শ্রাবন ( ইংরেজি ১৯৪১ এর ৭ ই আগাস্ট) কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ ঘটে।





Comments

Popular posts from this blog

ছোটদের গল্প (এক কৃপণের ধন )

 এক মহা কৃপণ লোক ছিল। একদিন সে তার সমস্ত বিষয় সম্পত্তি বিক্রি করে, শহর থেকে বেশ বড় একটা সোনার দলা কিনে নিয়ে এল। তারপর সেটি ঘরে না রেখে, লুকিয়ে তার বাগানের এক কোণে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে রাখল। এরপর থেকে রোজ সকাল হলেই, সেই কৃপণ তার বাগানে গিয়ে, চুপি চুপি গর্তের মাটি সরিয়ে সোনার দোলাটি দেখে, আবার মাটি চাপা দিয়ে আসত। সোনার দোলাটি ঘরে না রেখে মাটিতে পুঁতে কৃপণ মনে মনে খুব নিশ্চিন্ত হয়েছিল। এই ভাবে তার কেটে গেল অনেক দিন। হটাৎ একদিন সেই কৃপণের বাড়ির ধূত চাকর দেখে ফেলল সেই কান্ড। রোজ সকালে মনিবকে বাগানের মাটি খুঁড়তে দেখে তার ভীষণ কৌতূহল হল। গর্তের ভেতর কি আছে, তা দেখার জন্য সে সুযোগ খুঁজতে লাগল। একদিন কৃপণ কিছু কেনাকাটি করতে শহরে গেল। বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হল। সেই ফাঁকে চাকরটি বাগানে গিয়ে গর্তের মাটি সরিয়ে দেখতে পেল সোনার দলাটি। এতো বড়ো একটি সোনার দলা হাতে পেয়ে চাকরটির ভীষণ লোভ হল। মনিব ফেরার আগেই সে চুপি চুপি সোনার দলাটি নিয়ে পালিয়ে গেল। রোজকার মতো, পরেরদিন সকলে কৃপণ গর্তের কাছে গিয়ে দেখল, গর্ত খালি। সেখানে সোনার দলাটি নেই। কৃপণ বুক চাপড়ে কাঁদতে লাগল। তার কান্না শুনে প্রতিবেশিরা সবাই ছু

জনগণ মন (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

 জনগণ মন অধিকনাক ও জন হে।  ভারত ভাগ্য বিধাতা।।  পাঞ্জাব ব সিন্ধ গুজরাত মারাঠা।  দাবির ও উৎচলো গঙ্গা।  তব শুভ  অসিস  মাঘে ।। গা হে তব জয় গাথা।  জনগণ মঙ্গল ও গায়ক ও  জয় হে ।। ভারত ভাগ্য বিধাতা জয় হে জয় হে জয় হে । জয় জয় জয় জয় জয় হে। ।