Skip to main content

ছোটদের গল্প (ইঁদুর ও ব্যাঙ )

 একুরের এক ব্যাঙের সঙ্গে মাঠের এক ইঁদুরের খুব ভাব ছিল। তারা একসঙ্গে গল্প করতে করতে খাবার খুঁজে বেড়াতো। দু -জন যেন এক প্রাণ আর এক আত্মা। দুই বন্ধুর মধ্যে ইঁদুর ছিল সহজ সরল প্রকৃতির। আর ব্যাঙ ছিল একটু অন্য রকমের। সে মাঝে মাঝে ইঁদুরকে জব্দ করে বেশ মজা করত। একদিন দুই বন্ধুতে একটি মাঠে খাবার খুঁজে বেড়াছিল।মাঝে মাঝে তারা খাবার খুঁজতে খুঁজতে দু -জন দুদিক চলে যাচ্ছিল। ব্যাঙ বলল -বন্ধু, আমরা মাঝে মাঝেই দুজন দুদিকে সরে যাচ্ছি। সেই জন্য আমাদের গল্প ঠিক জমছেনা। আমরা বরং এক কাজ করি। আমরা একটা পায়ের সঙ্গে তোমার একটা পা বাঁধে দিই। তাহলে আমরা আর ছাড়াছাড়ি হব না। বিপদ এলেও এক সাথে পালাতে পারব।

ইঁদুর অতশত ভাবল না। সে ব্যাঙের কথায় রাজী হয়ে গেল।ব্যাঙের পায়ের সঙ্গে নিজের পা বেঁধে নিয়ে আবার চলতে লাগল। কিছুদূর যাবার পর তারা একটি পুকুরের কাছে এসে পৌঁছল। পুকুরে জল দেখে ব্যাঙের ভারী আনন্দ হল। সে আনন্দে গ্যাঙর গ্যাং করে ডেকে বলল -ইঁদুর ভাই। চল একটু পুকুরে সাঁতার কেটে নিই। এই বলে ব্যাঙ ঝপাং করে লাফিয়ে পরল পুকুরের জলে। ইঁদুর বেচারা কি আর করে।পা -বাঁধা অবস্থায় সেও ব্যাঙের সঙ্গে জলে পড়ে হাবুডুবু খেতে লাগল।

ব্যাঙ মনের আনন্দে সাঁতার কাটছিল। আর ইদুরের করুন অবস্থা দেখে মজা পাচ্ছিল। এদিকে ইঁদুর জল খেয়ে দম আটকে মারা গেল। ব্যাঙ তা লক্ষ্য করল না। ইঁদুরের মরাদেহ কিছুক্ষন জলে ডুবে থেকে আবার ভেসে উঠল। তারপর ব্যাঙের পাশে পাশে ঘুরতে লাগল। সেই সময় আকাশে একটি চিল উড়ছিল। সে মরা ইঁদুরটিকে জলে ভাসতে দেখে, ছোঁ মেরে সেটাকে তুলে নিয়ে গেল। ইঁদুরের সঙ্গে ব্যাঙ -ও পা -বাঁধা অবস্থায় শুন্যে ঝুলতে লাগল। চিলটি একটি গাছে বসে মনের সুখে প্রথমে ইঁদুরটিকে খেল। পরে জ্যান্ত ব্যাঙটিকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খেল। তারপর আবার উড়ে গেল আকাশে।

নীতিকথা :- ন্যায় বিচারে সব অপরাধীরই শাস্তি হয়।

Comments

Popular posts from this blog

ছোটদের গল্প (এক কৃপণের ধন )

 এক মহা কৃপণ লোক ছিল। একদিন সে তার সমস্ত বিষয় সম্পত্তি বিক্রি করে, শহর থেকে বেশ বড় একটা সোনার দলা কিনে নিয়ে এল। তারপর সেটি ঘরে না রেখে, লুকিয়ে তার বাগানের এক কোণে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে রাখল। এরপর থেকে রোজ সকাল হলেই, সেই কৃপণ তার বাগানে গিয়ে, চুপি চুপি গর্তের মাটি সরিয়ে সোনার দোলাটি দেখে, আবার মাটি চাপা দিয়ে আসত। সোনার দোলাটি ঘরে না রেখে মাটিতে পুঁতে কৃপণ মনে মনে খুব নিশ্চিন্ত হয়েছিল। এই ভাবে তার কেটে গেল অনেক দিন। হটাৎ একদিন সেই কৃপণের বাড়ির ধূত চাকর দেখে ফেলল সেই কান্ড। রোজ সকালে মনিবকে বাগানের মাটি খুঁড়তে দেখে তার ভীষণ কৌতূহল হল। গর্তের ভেতর কি আছে, তা দেখার জন্য সে সুযোগ খুঁজতে লাগল। একদিন কৃপণ কিছু কেনাকাটি করতে শহরে গেল। বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হল। সেই ফাঁকে চাকরটি বাগানে গিয়ে গর্তের মাটি সরিয়ে দেখতে পেল সোনার দলাটি। এতো বড়ো একটি সোনার দলা হাতে পেয়ে চাকরটির ভীষণ লোভ হল। মনিব ফেরার আগেই সে চুপি চুপি সোনার দলাটি নিয়ে পালিয়ে গেল। রোজকার মতো, পরেরদিন সকলে কৃপণ গর্তের কাছে গিয়ে দেখল, গর্ত খালি। সেখানে সোনার দলাটি নেই। কৃপণ বুক চাপড়ে কাঁদতে লাগল। তার কান্না শুনে প্রতিবেশিরা সবাই ছু

জনগণ মন (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

 জনগণ মন অধিকনাক ও জন হে।  ভারত ভাগ্য বিধাতা।।  পাঞ্জাব ব সিন্ধ গুজরাত মারাঠা।  দাবির ও উৎচলো গঙ্গা।  তব শুভ  অসিস  মাঘে ।। গা হে তব জয় গাথা।  জনগণ মঙ্গল ও গায়ক ও  জয় হে ।। ভারত ভাগ্য বিধাতা জয় হে জয় হে জয় হে । জয় জয় জয় জয় জয় হে। ।