Skip to main content

ছোটদের গল্প (এক বৃদ্ধ কৃষক ও তার পুত্ররা )

 এক গ্রামে এক কৃষক ছিল। এখন সে বৃদ্ধ হয়েছে। তার চারপুত্র ছিল। তারা সব সময় নিজেদের মধ্যে ঝগড়া মারামারি করত। তিনি তাদের মারামারি করতে মানা করলেও কোনো ছেলেই তার কথা শুনত না। এই কারণে সেই বৃদ্ধ কৃষকের মনে শান্তি ছিল না।

তিনি মনে মনে এক ফন্দি আঁটলেন। তিনি একদিন ছেলেদের কতকগুলি কঞ্চি আনতে বললেন। ছেলেরা অনেকগুলি কঞ্চি কেটে আনলে তিনি সেইগুলোকে  একত্রে বাধঁতে বললেন। এরপর তিনি বড়ো ছেলেকে ভাঙতে বললেন। কিন্তু সে পারল না। বাবার আদেশ মত একে একে অন্যান্য ছেলেরাও ভাঙতে চেষ্টা করল, কিন্তু কেউই আঁটিটা ভাঙাতে পারল না।

তখন তিনি বড়ো ছেলেকে আঁটি খুলে ফেলতে বললেন। সে তা খুলে ফেলল বৃদ্ধ কৃষক তার ছেলেদের একটি করে কঞ্চি নিতে বললেন। প্রত্যেকেই একটি করে কঞ্চি নিল। সবাই সহজেই ভেঙে ফেলল। তখন তিনি ছেলেদের সবাইকে কাছে ডাকলেন ছেলেরা কাছে এলে তিনি বললেন, " দেখলে বাছারা, ঐ কঞ্চির আঁটির মত তোমরা যতদিন একসঙ্গে থাকবে, ততদিন কেউ তোমাদের ক্ষতি করতে পারবে না। কিন্ত যেই তোমরা আলাদা হয়ে পড়বে অমনি তোমাদের ওপর শত্রু আক্রমণ করবে। কাজেই তোমরা এখন থেকেই মিলেমিশে থাকবে। একসঙ্গে থাকলে কেউ তোমাদের ক্ষতি করতে পারবে না।"

নীতিকথা :-একতাই বল


Comments

Popular posts from this blog

ছোটদের গল্প (এক কৃপণের ধন )

 এক মহা কৃপণ লোক ছিল। একদিন সে তার সমস্ত বিষয় সম্পত্তি বিক্রি করে, শহর থেকে বেশ বড় একটা সোনার দলা কিনে নিয়ে এল। তারপর সেটি ঘরে না রেখে, লুকিয়ে তার বাগানের এক কোণে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে রাখল। এরপর থেকে রোজ সকাল হলেই, সেই কৃপণ তার বাগানে গিয়ে, চুপি চুপি গর্তের মাটি সরিয়ে সোনার দোলাটি দেখে, আবার মাটি চাপা দিয়ে আসত। সোনার দোলাটি ঘরে না রেখে মাটিতে পুঁতে কৃপণ মনে মনে খুব নিশ্চিন্ত হয়েছিল। এই ভাবে তার কেটে গেল অনেক দিন। হটাৎ একদিন সেই কৃপণের বাড়ির ধূত চাকর দেখে ফেলল সেই কান্ড। রোজ সকালে মনিবকে বাগানের মাটি খুঁড়তে দেখে তার ভীষণ কৌতূহল হল। গর্তের ভেতর কি আছে, তা দেখার জন্য সে সুযোগ খুঁজতে লাগল। একদিন কৃপণ কিছু কেনাকাটি করতে শহরে গেল। বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হল। সেই ফাঁকে চাকরটি বাগানে গিয়ে গর্তের মাটি সরিয়ে দেখতে পেল সোনার দলাটি। এতো বড়ো একটি সোনার দলা হাতে পেয়ে চাকরটির ভীষণ লোভ হল। মনিব ফেরার আগেই সে চুপি চুপি সোনার দলাটি নিয়ে পালিয়ে গেল। রোজকার মতো, পরেরদিন সকলে কৃপণ গর্তের কাছে গিয়ে দেখল, গর্ত খালি। সেখানে সোনার দলাটি নেই। কৃপণ বুক চাপড়ে কাঁদতে লাগল। তার কান্না শুনে প্রতিবেশিরা সবাই ছু

জনগণ মন (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

 জনগণ মন অধিকনাক ও জন হে।  ভারত ভাগ্য বিধাতা।।  পাঞ্জাব ব সিন্ধ গুজরাত মারাঠা।  দাবির ও উৎচলো গঙ্গা।  তব শুভ  অসিস  মাঘে ।। গা হে তব জয় গাথা।  জনগণ মঙ্গল ও গায়ক ও  জয় হে ।। ভারত ভাগ্য বিধাতা জয় হে জয় হে জয় হে । জয় জয় জয় জয় জয় হে। ।