Skip to main content

ব্যাঙ ও বালকের খেলা (ছোটোদের গল্প )

 


একদিন দুই রাখাল বালক মাঠে এলো গরু চরাতে। কিছুক্ষন পর তারা গরুগুলিকে মাঠে ছেড়ে দিয়ে পাশের একটা পুকুর - পারে গাছের ছাওয়ার এসে বসলো। তারপর দুজনে মিলে পুকুরের জলে ঢিল ছোঁড়াছুঁড়ি খেলা করতে লাগল। সেই পুকুরে বাস করতো অনেক গুলো ব্যাঙ। তারা রাখাল বালকদের ছোড়া ঢিলের আঘাতে জখম হতে লাগল। রাখাল বালক - দুটির কিন্তু সে - সব নজরে পরল না। তারা মনের আনন্দে পাল্লা দিয়ে পুকুরের জলে অনাবরত ঢিল ছুড়তে থাকলো। বাঙগুলো প্রাণের ভয়ে পুকুরের জলে ছুটোছুটি করতে লাগলো। ঢিলের আঘাতে তাদের কারো হাত, কারো পা ভাঙলো। কারো মাথা ফাটলো। কয়েকটা তো ইটের ঘায়ে মারা গেল। তবু রাখাল বালক - দুটি ঢিল ছোঁড়াছুঁড়ি খেলা বন্ধ করল না।

শেষে কোনো উপায় না দেখে, পুকুরের এক বুড়ো ব্যাঙ সাহস করে বালক দুটির কাছে এসে বলল - ওগো ছেলেরা তোমরা শুধু শুধু কেন এমন করে পুকুরের জলে ঢিল ছুঁরছো? আমার যে সবাই মরতে বসেছি। ব্যাঙের কথায় কোনো আমল দিল না ছেলে দুটি। তারা একমনে ঢিল ছুঁড়ে খেলা করতে লাগল। এবার বুড়ো বাঙটির সাথে আরও কয়েকটি ব্যাঙ এক হয়ে চীৎকার করে বলল, ওগো ছেলেরা! তোমরা আর পুকুরের জলে ঢিল ছুঁড়ো না। তোমাদের ছোঁড়া ঢিলে আমাদের ছেলেমেয়েরা সব মারা যাচ্ছে। এবার ছেলে দুটি বলে উঠল, তোমরা দেখতে পাচ্ছ না - আমরা কেমন সুন্দর খেলা করছি। তখন বুড়ো ব্যাঙটি বলল, তোমরা যে খেলা করছো ; তা আমরা দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু তোমরা কি একবারও ভেবে দেখেছো যে, তোমাদের মজার খেলার জন্য আমাদের অকালে প্রাণ চলে যাচ্ছে। আমরা খুব অসহায় বোধ করছি। তোমরা এবার শান্ত হও। আর ঢিল ছোঁড়াছুঁড়ি করো না প্রাণ নিয়ে এই মজার খেলা দয়া করে এবার বন্ধ করো।

নীতিকথা :- কারো আনন্দ অনেক সময় অন্যের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

Comments

Popular posts from this blog

ছোটদের গল্প (এক কৃপণের ধন )

 এক মহা কৃপণ লোক ছিল। একদিন সে তার সমস্ত বিষয় সম্পত্তি বিক্রি করে, শহর থেকে বেশ বড় একটা সোনার দলা কিনে নিয়ে এল। তারপর সেটি ঘরে না রেখে, লুকিয়ে তার বাগানের এক কোণে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে রাখল। এরপর থেকে রোজ সকাল হলেই, সেই কৃপণ তার বাগানে গিয়ে, চুপি চুপি গর্তের মাটি সরিয়ে সোনার দোলাটি দেখে, আবার মাটি চাপা দিয়ে আসত। সোনার দোলাটি ঘরে না রেখে মাটিতে পুঁতে কৃপণ মনে মনে খুব নিশ্চিন্ত হয়েছিল। এই ভাবে তার কেটে গেল অনেক দিন। হটাৎ একদিন সেই কৃপণের বাড়ির ধূত চাকর দেখে ফেলল সেই কান্ড। রোজ সকালে মনিবকে বাগানের মাটি খুঁড়তে দেখে তার ভীষণ কৌতূহল হল। গর্তের ভেতর কি আছে, তা দেখার জন্য সে সুযোগ খুঁজতে লাগল। একদিন কৃপণ কিছু কেনাকাটি করতে শহরে গেল। বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হল। সেই ফাঁকে চাকরটি বাগানে গিয়ে গর্তের মাটি সরিয়ে দেখতে পেল সোনার দলাটি। এতো বড়ো একটি সোনার দলা হাতে পেয়ে চাকরটির ভীষণ লোভ হল। মনিব ফেরার আগেই সে চুপি চুপি সোনার দলাটি নিয়ে পালিয়ে গেল। রোজকার মতো, পরেরদিন সকলে কৃপণ গর্তের কাছে গিয়ে দেখল, গর্ত খালি। সেখানে সোনার দলাটি নেই। কৃপণ বুক চাপড়ে কাঁদতে লাগল। তার কান্না শুনে প্রতিবেশিরা সবাই ছু