Skip to main content

পোষা কুকুর ও নেকড়ে ( ছোটদের গল্প )

 


একদিন গৃহস্তের পোষা কুকুরদের সঙ্গে কয়েকটা নেকড়ে দেখা হল।তারা কুকুরদের ডেকে বলল, ওহে ভাই সকল। তোমাদের সব কিছুই তো আমাদের মতো। তবু কেন তোমাদের সঙ্গে আমাদের এত বিবাদ? কেন এমন শত্রুর মত আচরণ করি। তবে তোমাদের সাথে আমাদের অবশ্য তফাৎ একটা আছে। সে হল চিন্তা আর ভাবনার। কুকুরেরা হাঁ করে নেকড়েদের কথা শুনে বলল, সেটা আবার কি রকম? নেকেড়েরা বলল, আমরা  স্বাধীনভাবে থাকতে। আর তোমরা চাও মানুষের চাকর হয়ে থাকতে।

তোমরাও যদি আমাদের মত স্বাধীন হয়ে থাকতে চাইতে, তাহলে তো মানুষেরা তোমাদের গলায় শেকল পড়াতে পারতে না। দু - মুঠো খাবারের জন্য তোমরা সারারাত ধরে তাদের হাস - মুরগি - ছাগল - ভেড়া সব পাহারা দাও।একি কম অপমানের ভাই? মানুষেরা কত ভালো ভালো খাবার খায়। খাওয়ার শেষে তাদের পাতে যা এটো - কাঁটা পরে থাকে, তাই তোমরা মনের আনন্দে লেজ নাড়তে খাও। এসব তোমরা পার, কিন্তু আমরা পারি না। এটাই হল তোমাদের সঙ্গে আমাদের তফাৎ। কেন তোমরা এই অপমান সহ্য করবে ?কুকুরেরা নেকড়েদের সব কথা মন দিয়ে শুনল। তারপর একটু গম্ভীর হয়ে বলল, তোমরা তো সব ঠিক কথা বলছো ভাই। এখন তাহলে আমাদের কি করা উচিত? নেকেড়ারা বলল - যারা তোমাদের এত অপমান করে, তাদের বাড়িতে চুরি করে এর শোধ নেবে। কুকুরেরা বলল, সেটা কেমন করে সম্ভব ? নেকেড়েরা বলল, খুব সোজা উপায়। তোমরা মানুষের বাড়িতে যে - সব ছাগল ভেড়া পাহারা দাও, সেগুলো আমাদের হাতে তুলে দেবে। তারপর আমরা সবাই মিলে সেগুলো ভাগ করে নেবো।
নেকেড়েদের পরামর্শ কুকুরেরা মেনে নিলো। তারা বলল, তোমরা আজ রাতে আমাদের আস্তানার আসে পাশেই থেকো। বাড়ির লোকজনেরা ঘুমিয়ে পড়লে আমরা পথ ছেড়ে দেব।তখন তোমরা ভেতরে ঢুকে পড়বে। সেদিন রাতে মানুষেরা সবাই ঘুমিয়ে পরল।  নেকেড়েরা কুকুরদের সহযোগিতায় তাদের আস্তানায় গিয়ে ঢুকলো। বাড়ির ভেতরে ঢুকে নেকেড়েরা প্রথমেই কুকুরদের মেরে ফেলল। তারপর গৃহ হস্তের ছাগল ভেড়াগুলোকে মেরে মুখে নিয়ে টানতে টানতে জঙ্গলের ভেতর ঢুকে গেল।
নীতিকথা : - বিশ্বাস ঘাতকতার ফল কখনো ভাল হয় না।

Comments

Popular posts from this blog

ছোটদের গল্প (এক কৃপণের ধন )

 এক মহা কৃপণ লোক ছিল। একদিন সে তার সমস্ত বিষয় সম্পত্তি বিক্রি করে, শহর থেকে বেশ বড় একটা সোনার দলা কিনে নিয়ে এল। তারপর সেটি ঘরে না রেখে, লুকিয়ে তার বাগানের এক কোণে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে রাখল। এরপর থেকে রোজ সকাল হলেই, সেই কৃপণ তার বাগানে গিয়ে, চুপি চুপি গর্তের মাটি সরিয়ে সোনার দোলাটি দেখে, আবার মাটি চাপা দিয়ে আসত। সোনার দোলাটি ঘরে না রেখে মাটিতে পুঁতে কৃপণ মনে মনে খুব নিশ্চিন্ত হয়েছিল। এই ভাবে তার কেটে গেল অনেক দিন। হটাৎ একদিন সেই কৃপণের বাড়ির ধূত চাকর দেখে ফেলল সেই কান্ড। রোজ সকালে মনিবকে বাগানের মাটি খুঁড়তে দেখে তার ভীষণ কৌতূহল হল। গর্তের ভেতর কি আছে, তা দেখার জন্য সে সুযোগ খুঁজতে লাগল। একদিন কৃপণ কিছু কেনাকাটি করতে শহরে গেল। বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হল। সেই ফাঁকে চাকরটি বাগানে গিয়ে গর্তের মাটি সরিয়ে দেখতে পেল সোনার দলাটি। এতো বড়ো একটি সোনার দলা হাতে পেয়ে চাকরটির ভীষণ লোভ হল। মনিব ফেরার আগেই সে চুপি চুপি সোনার দলাটি নিয়ে পালিয়ে গেল। রোজকার মতো, পরেরদিন সকলে কৃপণ গর্তের কাছে গিয়ে দেখল, গর্ত খালি। সেখানে সোনার দলাটি নেই। কৃপণ বুক চাপড়ে কাঁদতে লাগল। তার কান্না শুনে প্রতিবেশিরা সবাই ছু

জনগণ মন (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

 জনগণ মন অধিকনাক ও জন হে।  ভারত ভাগ্য বিধাতা।।  পাঞ্জাব ব সিন্ধ গুজরাত মারাঠা।  দাবির ও উৎচলো গঙ্গা।  তব শুভ  অসিস  মাঘে ।। গা হে তব জয় গাথা।  জনগণ মঙ্গল ও গায়ক ও  জয় হে ।। ভারত ভাগ্য বিধাতা জয় হে জয় হে জয় হে । জয় জয় জয় জয় জয় হে। ।