একদিন রাতে এক সিংহী বন থেকে বেরিয়ে গ্রামের পথ দিয়ে হাঁটছিল। এমন সময় সিংহী দেখলো, এক বাড়ির উঠোনে ফুটফুটে একটি শিশুকন্যা একা একা শুয়ে কাঁদছে। তাই দেখে সিংহীর খুব মায়া হল। সে শিশুটিকে না খেয়ে, মুখে করে বনে নিয়ে গেল। সিংহীর নিজের দুটো বাচ্ছা ছিল। সে তাঁর নিজের বাচ্চাদের মতই শিশু কন্যাটিকে ও খুব যত্নে, তার দুধ খইয়ে বড় করতে লাগল। একটু বড় হলে, সে সিংহীর বাচ্চাদের সাথে, বনের মধ্যে খেলা করে বেড়াতে লাগল।
মেয়েটিকে দেখে বনের অন্যান্য পশুদের খুব লোভ হত। কিন্ত সিংহীর ভয়ে তারা মেয়েটিকে খেতে সাহস পেত না। এই ভাবে একদিন সিংহী বাচ্চা দুটির সাথে সাথে মেয়েটিও বড় হয়ে গেল। সিংহীরও অনেক বয়স হল। সে তখন সবসময় মেয়েটিকে নিয়ে ভাবে - তাঁর মৃত্যুর পর কে দেখবে তাকে। সে না থকালে বোনের পশুরা তাকে ছিঁড়ে খেয়ে ফেলবে। মেয়েটি ভাবনায় সিংহীর আহার নিদ্রা চলে গেল। অনেক চিন্তা ভাবনার পর মনস্তির করল যে, মেয়েটিকে তার বাবা - মায়ের কাছেই ফিরিয়ে দেবে। সেখানেই সে নিরাপদ।
মেয়েটি সিংহীর কথা শুনে খুব কাঁদতে লাগল। সে সিংহীকে ছেড়ে কিছুতেই যেতে রাজী হল না। সিংহী তাকে অনেক বোঝাল। তারপর ঝোপের আড়াল থেকে একটা চেন ও লকেট মেয়েটিকে দিয়ে বলল, এটা তোমার বাবা মায়ের দেওয়া। ছেলেবেলায় এটা তোমার গলায় ছিল।
Comments
Post a Comment