Skip to main content

সিংহী ও শিশুকন্যা ( ছোটোদের গল্প )

 একদিন রাতে এক সিংহী বন থেকে  বেরিয়ে গ্রামের পথ দিয়ে হাঁটছিল। এমন সময় সিংহী দেখলো, এক বাড়ির উঠোনে ফুটফুটে একটি শিশুকন্যা একা একা শুয়ে কাঁদছে। তাই দেখে সিংহীর খুব মায়া হল। সে শিশুটিকে না খেয়ে, মুখে করে বনে নিয়ে গেল। সিংহীর নিজের দুটো বাচ্ছা ছিল। সে তাঁর নিজের বাচ্চাদের মতই শিশু কন্যাটিকে ও খুব যত্নে, তার দুধ খইয়ে বড় করতে লাগল। একটু বড় হলে, সে সিংহীর বাচ্চাদের সাথে, বনের মধ্যে খেলা করে বেড়াতে লাগল।

মেয়েটিকে দেখে বনের অন্যান্য পশুদের খুব লোভ হত। কিন্ত সিংহীর ভয়ে তারা মেয়েটিকে খেতে সাহস পেত না। এই ভাবে একদিন সিংহী বাচ্চা দুটির সাথে সাথে মেয়েটিও বড় হয়ে গেল। সিংহীরও অনেক বয়স হল। সে তখন সবসময় মেয়েটিকে নিয়ে ভাবে - তাঁর মৃত্যুর পর কে দেখবে তাকে। সে না থকালে বোনের পশুরা তাকে ছিঁড়ে খেয়ে ফেলবে। মেয়েটি ভাবনায় সিংহীর আহার নিদ্রা চলে গেল। অনেক চিন্তা ভাবনার পর মনস্তির করল যে, মেয়েটিকে তার বাবা - মায়ের কাছেই ফিরিয়ে দেবে। সেখানেই সে নিরাপদ।

মেয়েটি সিংহীর কথা শুনে খুব কাঁদতে লাগল। সে সিংহীকে ছেড়ে কিছুতেই যেতে রাজী হল না। সিংহী  তাকে অনেক বোঝাল। তারপর ঝোপের আড়াল থেকে একটা চেন ও লকেট মেয়েটিকে দিয়ে বলল, এটা তোমার বাবা মায়ের দেওয়া। ছেলেবেলায় এটা তোমার গলায় ছিল।

Comments

Popular posts from this blog

ছোটদের গল্প (এক কৃপণের ধন )

 এক মহা কৃপণ লোক ছিল। একদিন সে তার সমস্ত বিষয় সম্পত্তি বিক্রি করে, শহর থেকে বেশ বড় একটা সোনার দলা কিনে নিয়ে এল। তারপর সেটি ঘরে না রেখে, লুকিয়ে তার বাগানের এক কোণে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে রাখল। এরপর থেকে রোজ সকাল হলেই, সেই কৃপণ তার বাগানে গিয়ে, চুপি চুপি গর্তের মাটি সরিয়ে সোনার দোলাটি দেখে, আবার মাটি চাপা দিয়ে আসত। সোনার দোলাটি ঘরে না রেখে মাটিতে পুঁতে কৃপণ মনে মনে খুব নিশ্চিন্ত হয়েছিল। এই ভাবে তার কেটে গেল অনেক দিন। হটাৎ একদিন সেই কৃপণের বাড়ির ধূত চাকর দেখে ফেলল সেই কান্ড। রোজ সকালে মনিবকে বাগানের মাটি খুঁড়তে দেখে তার ভীষণ কৌতূহল হল। গর্তের ভেতর কি আছে, তা দেখার জন্য সে সুযোগ খুঁজতে লাগল। একদিন কৃপণ কিছু কেনাকাটি করতে শহরে গেল। বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হল। সেই ফাঁকে চাকরটি বাগানে গিয়ে গর্তের মাটি সরিয়ে দেখতে পেল সোনার দলাটি। এতো বড়ো একটি সোনার দলা হাতে পেয়ে চাকরটির ভীষণ লোভ হল। মনিব ফেরার আগেই সে চুপি চুপি সোনার দলাটি নিয়ে পালিয়ে গেল। রোজকার মতো, পরেরদিন সকলে কৃপণ গর্তের কাছে গিয়ে দেখল, গর্ত খালি। সেখানে সোনার দলাটি নেই। কৃপণ বুক চাপড়ে কাঁদতে লাগল। তার কান্না শুনে প্রতিবেশিরা সবাই ছু

জনগণ মন (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

 জনগণ মন অধিকনাক ও জন হে।  ভারত ভাগ্য বিধাতা।।  পাঞ্জাব ব সিন্ধ গুজরাত মারাঠা।  দাবির ও উৎচলো গঙ্গা।  তব শুভ  অসিস  মাঘে ।। গা হে তব জয় গাথা।  জনগণ মঙ্গল ও গায়ক ও  জয় হে ।। ভারত ভাগ্য বিধাতা জয় হে জয় হে জয় হে । জয় জয় জয় জয় জয় হে। ।