Skip to main content

ছোটদের গল্প ( কাক ও কোকিল )

 একদিন এক কাকের সাথে এক কোকিলের আলাপ হল। তারপর থেকে প্রায় তাদের এগাছে ওগাছে দেখা হতে লাগল। আস্তে আস্তে দুই জনের  মধ্যে বেশ ভাব জমে উঠল।একদিন  কাক বলল - কোকিল ভাই, সব পাখিরাই বাসা বাঁধে, তবে তোমরা কেন বাঁধা না? কোকিল বলতে -আসলে বাসা আমাদের ঠিক ভাল লাগে না, তাই আর কি। কাক বলল , না ওসব হবে না। আমি তোমাকে  বাসা বানানো শিকিয়ে দেব। আমার বাসার পাশেই থাকবে তোমার বাস। তাহলে সব সময় আমার দুজন কাছাকাছি থাকতে পারব।


কোকিল কাকার কথায় রাজী হল। তারপর কাক কোকিলকে বাসা বাঁধা শেখাতে লাগল । কাক বার বার দেখিয়ে দিতে লাগল । কোকিল তবু কিছু ঠিক মত বাসা বাধঁতে পারল না। বারবার তার মুখ থেকে খঁড়কুটো পড়ে যেতে লাগল। কাক কোকিলের বাসা বানানো দেখে হেসে মরে যায় আর কি। কোকিল ও সেই ফাঁকে বোকা কাকের চোখ এড়িয়ে, তার বাসায় ডিম পেড়ে এসে বলল, দেখো ভাই কাক! আসলে এই বাসা বাঁসার কাজটা আমাদের কোকিল জাতের একবারে নেষেধ। আমার পূর্ব - পুরুষরা কেউ কোনদিন এই কাজ করেনি। আজ আমি যদি সেই কাজ করি, তাহলে কোকিল সমাজ আমায় এক ঘরে রাখবে। কেউ আর আমার সঙ্গে মিশবে না। তার চেয়ে আমার এই যাযাবর জীবনই অনেক ভাল ভাই। তোমরা থাক তোমাদের বাসা আর ডিম নিয়ে। আমি ভাই চললুম। এই বলে চতুর কোকিল বোকা কাকের বাসায় তার ডিম ফেলে রেখে, কুহু - কুহু করে মিষ্টি সুরে গান করতে করতে অন্য দেশে উড়ে গেল।

Comments

Popular posts from this blog

ছোটদের গল্প (এক কৃপণের ধন )

 এক মহা কৃপণ লোক ছিল। একদিন সে তার সমস্ত বিষয় সম্পত্তি বিক্রি করে, শহর থেকে বেশ বড় একটা সোনার দলা কিনে নিয়ে এল। তারপর সেটি ঘরে না রেখে, লুকিয়ে তার বাগানের এক কোণে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে রাখল। এরপর থেকে রোজ সকাল হলেই, সেই কৃপণ তার বাগানে গিয়ে, চুপি চুপি গর্তের মাটি সরিয়ে সোনার দোলাটি দেখে, আবার মাটি চাপা দিয়ে আসত। সোনার দোলাটি ঘরে না রেখে মাটিতে পুঁতে কৃপণ মনে মনে খুব নিশ্চিন্ত হয়েছিল। এই ভাবে তার কেটে গেল অনেক দিন। হটাৎ একদিন সেই কৃপণের বাড়ির ধূত চাকর দেখে ফেলল সেই কান্ড। রোজ সকালে মনিবকে বাগানের মাটি খুঁড়তে দেখে তার ভীষণ কৌতূহল হল। গর্তের ভেতর কি আছে, তা দেখার জন্য সে সুযোগ খুঁজতে লাগল। একদিন কৃপণ কিছু কেনাকাটি করতে শহরে গেল। বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হল। সেই ফাঁকে চাকরটি বাগানে গিয়ে গর্তের মাটি সরিয়ে দেখতে পেল সোনার দলাটি। এতো বড়ো একটি সোনার দলা হাতে পেয়ে চাকরটির ভীষণ লোভ হল। মনিব ফেরার আগেই সে চুপি চুপি সোনার দলাটি নিয়ে পালিয়ে গেল। রোজকার মতো, পরেরদিন সকলে কৃপণ গর্তের কাছে গিয়ে দেখল, গর্ত খালি। সেখানে সোনার দলাটি নেই। কৃপণ বুক চাপড়ে কাঁদতে লাগল। তার কান্না শুনে প্রতিবেশিরা সবাই ছু

জনগণ মন (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

 জনগণ মন অধিকনাক ও জন হে।  ভারত ভাগ্য বিধাতা।।  পাঞ্জাব ব সিন্ধ গুজরাত মারাঠা।  দাবির ও উৎচলো গঙ্গা।  তব শুভ  অসিস  মাঘে ।। গা হে তব জয় গাথা।  জনগণ মঙ্গল ও গায়ক ও  জয় হে ।। ভারত ভাগ্য বিধাতা জয় হে জয় হে জয় হে । জয় জয় জয় জয় জয় হে। ।