Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2023

জনগণ মন (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

 জনগণ মন অধিকনাক ও জন হে।  ভারত ভাগ্য বিধাতা।।  পাঞ্জাব ব সিন্ধ গুজরাত মারাঠা।  দাবির ও উৎচলো গঙ্গা।  তব শুভ  অসিস  মাঘে ।। গা হে তব জয় গাথা।  জনগণ মঙ্গল ও গায়ক ও  জয় হে ।। ভারত ভাগ্য বিধাতা জয় হে জয় হে জয় হে । জয় জয় জয় জয় জয় হে। ।

DING, DONG BELL

 Ding, dong bell Pussy's in the well. Who put her in? Little Johny thin. Who pulled her out? Little Johny stout. ডিং ডং শব্দে বাজে ঘন্টা ডিং, ডং শব্দে বাজে ঘন্টা পুশি কুয়োর ভিতর আছে। কুয়োর ভিতরে তাকে কে রেখেছে? ছোট্ট জনি থিন। কে তাকে বাইরে আনল টেনে? ছোট্ট জনি বলবান।

খোকন

 খোকন খোকন ডাক পড়ি, খোকন আমাদের কার বাড়ি? আয় রে  খোকন ঘরে আয়, দুধমাখা ভাত কাকে খায়। 

ভাষা কাকে বলে

 বাগযন্ত্রের  দ্বারা উচ্চারিত অর্থপূর্ন ধ্বনি - সমটি যাহা মনের সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করে তাকে ভাষা বলে। 

ঘুম জাগানো পাখি (কাজী নজরুল ইসলাম )

 আমি হব সকাল বেলার পাখি সবার আগে কুসুম-বাগে উঠবো আমি ডাকি! সূয্যি মামা জাগার আগে  উঠবো আমি জেগে, হয়নি সকাল, ঘুমো এখন, মা বলবেন রেগে। বোলো আমি আলসে মেয়ে ঘুমিয়ে তুমি থাকো, হয়নি সকাল তাই বলে কী সকাল হবে নাকো?

নয়ছয় ( ভবাণী প্রসাদ মজুমদার)

 স্কুলে আর যাবনা মা  বললে কেঁদেই জয়, স্কুলেতে গেলেই মাথা  খারাপ হবার ভয়।  কাল বললেন দিদিমণি  পাঁচ আর চারে নয়  আজ বললেন ছয় আর তিনে কি করে তা হয়। 

( ছোটোদের গল্প ) বৃদ্ধ ও জমদেবতা

  এক গ্রামে এক বৃদ্ধ বাস করত। সংসারে সে একবার একা। খুব কষ্ট করে তার দিন চলত। বনের কাঠ কেটে, বাজারে বিক্রি করে, সামান্য দু -চার পয়সা যা পেত, তাতে তার কোনোরকমে দিন চলত। এত দুঃখ কষ্ট বৃদ্ধের আর সহ্য হতো না।সে মাঝে মাঝেই নিজের ভাগ্যকে গালি দিতো। একদিন গ্রীষ্মের কাঠ ফাটা রোদে বৃদ্ধ কাঠের বোঝা নিয়ে বন থেকে ফিরছিলো। রোদে পুড়ে ঘামে ভিজে তার শরীর উত্তপ্ত হয়ে উঠল যে, তার পায়ে ফোস্কা পড়ে গেল।  বেচারা বৃদ্ধ কি আর করে। শেষে ক্লান্ত হয়ে, মাথার বোঝাটা নামিয়ে রেখে, পথের ধারে গাছের তলায় বসে বিশ্রাম নিতে লাগল। তার মনে ভীষণ রাগ আর দুঃখ হল।বাঁচে থাকার জন্য, এই বুড়ো বয়সেও এত কষ্ট করতে হচ্ছে। সে বসে বসে নিজের দুর্ভাগ্যকে গালি দিতে লাগল। শেষে বৃদ্ধ আক্ষেপ করে বলতে লাগল - সংসারে রোজ এত লোকের মরণ হচ্ছে ; তবু তার মরণ হচ্ছে না কেন? ব্যাটা যম! তুমি কি অন্ধ হয়ে গেছো। এত মানুষেকে রোজ চোখে দেখো, তবু আমায় কিছুতেই চোখে দেখো না। এত কষ্ট আমি আর সইতে পারছি না। হে যম! এবার আমার ডাক শুনে দয়া করে আমায় নিয়ে যাও। বৃবৃদ্ধার মুখের কথা শেষে হতে না হতেই, ভীষণ মূর্তি ধারণ করে যমরাজ তার সামনে হাজির হলেন। যমকে দেখে বৃদ্ধ ভয় পেয়ের বল

পয়রা ও বেধ

 একবনে একদল পায়রা থাকতো। তাদের দলে একজন দল পতিও ছিল। একদিন  ভোরবেলা ওরা খাবারের খোঁজে উড়ে যাবার সময় দেখলো যে,মাটির ওপর এক জায়গায় কিছু ধান ছড়ানো আছে। সবাই যখন ওই ধান খাবার জন্য নীচে নেমে এলো তখন ধানের ওপর বাসার সঙ্গে সঙ্গেই জালে আটকে গেল। আগের দিন রাতে এক শিকারি পাখি ধরবার জন্য ওই ফাদ পেতে রাখেছিল ।

এক বোকা নেকড়ে গল্প

 একদা এক নেকড়ে  নদীর ধারে একটা কচ্ছপকে ধরে রেখে গেল । কিন্তু খাবে কী করে? কচ্ছপের খোলসটা এটই শক্ত যে তাতে দাঁতই বসান গেল না ।অনেকক্ষণ চেষ্টা করে নেকড়ে যখন 

এক সিংহ,গাধা আর মোরগের কথা

 একদা এক বনে এক গাধা বাস করত। তার কাছাকাছি এক মোরগেরও বসবাস ছিল। একদিন বনের এক সিংহ সেই পথ দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ সিংহটির গাধাটাকে দেখতে পেল।গাধা টার নধর চেহারা দেখে সিংহটির জিভ থেকে জল ঝড়তে লাগলো। ওদিকে তা দেখে গাধার ভয়ে বুক কাঁপতে লাগলো। ঠিক সেই সময় মোরগটা কোকর - কো করে ডেকে উঠলো। 

পরিচয় (সুকান্ত ভট্টাচার্য)

 ও পাড়ার শ্যাম রায়  কাছে পেলে কমরায় । এমনি সে পালোযান ,       একদিন  দুপুরে  ডেকে বলে অপু রে  এক্ষুনি আলো আন। কী বিপদ তা হলে  আলো আর না হলে  আলো আর না হলে  মার খাব আমরা?

হ য ব র ল ( সুকুমার রায় )

 একের পিঠে দুই, চৌকি পেতে শুই ! পঁটলা বেঁধে থুই ! গোলাপ চাঁপা জুঁই, ইলিশ মাগুর রুই, হিনচে পালং পুঁই, সান বাড়ানো ভুঁই গোবর জলে ধুই কাঁদিস কেন তুই?

চাঁদের হাট (দক্ষিনারঞ্জন মিত্র মজুমদার )

 নীল আকাশে সূয্যিমামা ঝলক দিয়েছে, সবুজ মাঠে নতুন পাতা গজিয়ে উঠেছে। পালিয়েছিল সোনার টিয়ে ফিরে এসেছে, ক্ষীর নদীটির পারে খোকন হাসতে লেগেছে। হাসতে লেগেছে রে খোকন নাচতে লেগেছে, মায়ের কোলে চাঁদের হাট ভেঙে পড়েছে।

মজার দেশ ( যোগীন্দ্রনাথ সরকার )

 এক যে ছিল মজার দেশ সব রকমের ভালো,  রাতে সেথা বেজায় রোদ দিনে চাঁদের আলো আকাশ সেথায় সবুজ বরণ গাছের পাতা নীল, ডাঙয় চলে রুই কাতলা জলের মাঝে চিল।