সূচনা :-আঠারো দশকে অনেক প্রতিভা শীল মানুষের আবির্ভাব ছিল।তাঁদের মধ্যে একজন একজন শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেব।
জন্ম ও বংশ পরিচয় :- শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেব ১৮৩৬ সালে ১৭ই ফেব্রুয়ারী হুগলী জেলার আরবাগ মহাকুমার কামারপুকুরে এক ব্রাক্ষণ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় এবং মাতার নাম চন্দ্রমণি দেবী। রাম কৃষ্ণের প্রকৃত নাম গদাধর। ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়ের ইনি কনিষ্ঠ পুত্র।
শিক্ষা জীবন :- কামারপুকুরেরই গ্রাম্য পাঠশালায় শিক্ষা শুরু হলে ও রামকৃষ্ণদেব পড়াশুনায় বেশীদূর এগোতে পারেননি।
কর্ম জীবন :- বাল্যকালেই নিজেদের গৃহদেবতা রঘুবীরের সেবা ও পূজা শুরু করেন। এই সময়ে তাঁর পিতার মৃত্যুর পর তিনি তাঁর দাদার সঙ্গে কলিকাতায় চলে আসেন এবং মধ্য কলিকাতার ঝামাপুকুরে এক ব্রাক্ষণের বাড়িতে থেকে তাঁদের গৃহদেবতার কাজে আত্মনিয়োগ করেন।
রানী রাসমণি ১৮৫৬সালে দক্ষিণেশ্বরে কালী মন্দিরের পূজারী ও সেবাইত হিসাবে নিযুক্ত করেন। তিনি কালী মন্দিরে সারা দিন পড়ে থাকতেন কালী মূত্তির কাছে। মায়ের সাধনার সময় তার কোনো বাহ্যজ্ঞান থাকত না। তাঁর পূজা - অর্চনার পদ্ধতি স্বাভাবিক সেবাইতের মত ছিল না। অনেক তাঁকে পাগলা ঠাকুর বলে সম্মোধন করতেন।
তাঁর সংস্পশে বহু পাপী - তাপী মানুষ ভাল হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর পণ্ডিত দেখে, সিমলার বিলে, নরেন্দ্রনাথ পরবর্তীতে যিনি স্বামী বিবেকানন্দ নামে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। রামকৃষ্ণ দেবের স্ত্রীর নাম সারদামণি।
উপসংহার :- ১৮৮৬ সালে ১৬ ই আগস্ট তিনি অমৃতলোক যাত্ৰা করেন। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বলতেন 'যত মত তত পথ '। 'টাকা মাটি,মাটি টাকা '।
Comments
Post a Comment