Skip to main content

বৃদ্ধ সিংহ ও শেয়াল ( ছোটোদের গল্প )

 এক গুহায় এক বৃদ্ধ সিংহ বাস করতো । হঠাৎ তার শরীর অসুস্থ হয়ে পড়লো। জঙ্গল থেকে বেরোনো বন্ধ করে, সে গুহার ভেতরেই দিন কাটাতে লাগলো। পশুরা সবাই এসে তার খবর নিয়ে যেত। সবাই মাঝে মাঝে আসলেও শেয়াল কিন্ত একবারও সিংহের খোঁজ নিতে এলো না। বৃদ্ধ সিংহ তাই সকলের কাছে শেয়ালের কথা জিজ্ঞাসা করতে লাগলো।

নেক।ড়ে আর শেয়ালের চিরদিনই বিবাদ ছিল। তাই সুযোগ বুঝে, নেকড়ে একদিন সিংহের কাছে শেয়ালের নামে নিন্দে মন্দ করে বলল - মহারাজ, সে ব্যাটা আপনার কাছে আসবে কি করে! তার আজকাল খুব অহংকার হয়েছে। সে আর আপনাকে পশুরাজ বলে মনেই করে না।

এভাবে রোজ শেয়ালের বিরুদ্ধে মনগড়া কথা বলে, নেকড়ে সিংহকে ক্ষেপিয়ে দিতে লাগল। শেয়াল আড়াল থেকে সব কিছু লক্ষ্য করতো।একদিন সে লুকিয়ে গুহার বাইরে কান পেতে নেকড়ের সব কথা শুনলো। তারপর নেকড়েকে জব্দ করার জন্য ফন্দি আঁটতে লাগলো। হঠাৎ তার মাথায় এক দারুন মতলব খেলে গেল।

একদিন নেকড়ের কথার মাঝে শেয়াল সেখানে গিয়ে দাঁড়ালো। শেয়ালকে দেখে সিংহ তো রেগে গর গর করতে লাগলো। শেয়াল ভয় না পেয়ে সিংহের কাছে গিয়ে বলল, অপরাধ নেবেন না মহারাজ! এতদিন আপনার খবর নিতে আসতে পারিনি। কারণ রোজ একবার করে খবর নিয়ে গেলেই কতব্য শেষ হয় না। আমি এতদিন আপনার জন্য ভাল চিকিৎসকের খোঁজ করছিলাম।

Comments

Popular posts from this blog

ছোটদের গল্প (এক কৃপণের ধন )

 এক মহা কৃপণ লোক ছিল। একদিন সে তার সমস্ত বিষয় সম্পত্তি বিক্রি করে, শহর থেকে বেশ বড় একটা সোনার দলা কিনে নিয়ে এল। তারপর সেটি ঘরে না রেখে, লুকিয়ে তার বাগানের এক কোণে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে রাখল। এরপর থেকে রোজ সকাল হলেই, সেই কৃপণ তার বাগানে গিয়ে, চুপি চুপি গর্তের মাটি সরিয়ে সোনার দোলাটি দেখে, আবার মাটি চাপা দিয়ে আসত। সোনার দোলাটি ঘরে না রেখে মাটিতে পুঁতে কৃপণ মনে মনে খুব নিশ্চিন্ত হয়েছিল। এই ভাবে তার কেটে গেল অনেক দিন। হটাৎ একদিন সেই কৃপণের বাড়ির ধূত চাকর দেখে ফেলল সেই কান্ড। রোজ সকালে মনিবকে বাগানের মাটি খুঁড়তে দেখে তার ভীষণ কৌতূহল হল। গর্তের ভেতর কি আছে, তা দেখার জন্য সে সুযোগ খুঁজতে লাগল। একদিন কৃপণ কিছু কেনাকাটি করতে শহরে গেল। বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হল। সেই ফাঁকে চাকরটি বাগানে গিয়ে গর্তের মাটি সরিয়ে দেখতে পেল সোনার দলাটি। এতো বড়ো একটি সোনার দলা হাতে পেয়ে চাকরটির ভীষণ লোভ হল। মনিব ফেরার আগেই সে চুপি চুপি সোনার দলাটি নিয়ে পালিয়ে গেল। রোজকার মতো, পরেরদিন সকলে কৃপণ গর্তের কাছে গিয়ে দেখল, গর্ত খালি। সেখানে সোনার দলাটি নেই। কৃপণ বুক চাপড়ে কাঁদতে লাগল। তার কান্না শুনে প্রতিবেশিরা সবাই ছু

জনগণ মন (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

 জনগণ মন অধিকনাক ও জন হে।  ভারত ভাগ্য বিধাতা।।  পাঞ্জাব ব সিন্ধ গুজরাত মারাঠা।  দাবির ও উৎচলো গঙ্গা।  তব শুভ  অসিস  মাঘে ।। গা হে তব জয় গাথা।  জনগণ মঙ্গল ও গায়ক ও  জয় হে ।। ভারত ভাগ্য বিধাতা জয় হে জয় হে জয় হে । জয় জয় জয় জয় জয় হে। ।