একদিন এক শেয়াল তেষ্টায় কাতর হয়ে, এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করে, একটু জলের সন্ধান করছিলো। কিন্তু প্রখর রোদে সব কিছু শুকিয়ে যাওয়ায়, সে কোথাও একটু জলের খোঁজ পেল না। শেষে এক পড়া বাড়ির কাছে এসে সে একটা ছোট্ট পাতকুঁয়ো দেখতে পেল। অনেকদিন পড়ে থেকে সেটি মজে গিয়েছে। তাতে জল আছে, তবে খুব সামান্য। শেয়ালের এত জল তেষ্টা পেয়েছিলো যে, সে আর ভালমন্দ বিচার না করেই লাফ দিয়ে নেমে পরল কুঁয়োর মধ্যে। তারপর সে প্রাণ ভরে পান করল কুঁয়োর ঠান্ডা জল। এরপর শেয়াল পরল বিপদে। জল পান করে সে কিছুতেই কুঁয়োর উপর উঠতে পারল না। বারবার লাফলাফি করে অনেক চেষ্টা করল, কিন্ত তবুও সে উপরে উঠে আসতে পারল না। অবশেষে গলা - জলে দাঁড়িয়ে ভাবতে লাগল, কি করে কুঁয়োর মধ্যে থেকে বাইরে আসা যায়। এমন সময় একটি তৃস্নাত ছাগল জলের খোঁজে, সেই পাতকুঁয়োর সামনে এসে উপস্থিত হল।সে কুঁয়োর ভেতর উঁকি মারতেই দেখলো, শেয়াল সেখানে দাঁড়িয়ে। ছাগল মনে মনে ভাবল - সে বুঝি প্রাণ ভরে জল খেয়ে, ঠান্ডা জলে স্নান করছে। সে শেয়ালকে ডেকে বলল, ও ভাই শেয়াল! তুমি তো দেখছি বেশ জল খেয়ে মনের আনন্দে স্নান করছো। আর আমি একটু জলের জন্য, সেই কখন থেকে ঘুরে মরছি। তা ভাই শেয়াল, কুঁয়োর জলটা কেমন