Skip to main content

Posts

Showing posts from December, 2022

ছোটদের কবিতা ( ময়না প্রেমেন্দ্র মিত্র )

  ও পাড়ার ময়না  কেন কথা কয় না - জানলাম ইতিহাস ঘেঁটে -। ভুল করে একদিন খেয়েগেছি আলপিন সেই থেকে গলা গেছে এঁটে।

MOLLY, MY SISTER( child rhymes)

 Molly, my sister, and i fell out And what do you thik it was all about? She loved coffee and i loved tea, And that was the reason we could not agree. মলি, আমার বোন  আমার বোন মলি আর আমার মধ্যে ঝগড়া হল, তোমরা ভাবছো সেটাই বুজি সব? সে ভালোবাসত কফি আর আমি ভালোবাসতাম চা, আর সেই কারণই আমরা একমত হতে পারিনি।

THE MAN IN THE MOON(child rhyme )

 The man in the moon Looked out of the moon, And this is what he said, "This time that now I'm getting up, All childen are in bed". চাঁদের ভিতরের মানুষটি চাঁদের ভিতরের মানুষটি তাকিয়ে চাঁদের বাইরে, যে কথা সে বলল, তা হল, উঠেছি আমি এখন কিন্তু সব শিশুরা ঘুমিয়ে এখন।

THE DONKEY (children rhymes )

 Donkey, donkey, old and gray, Open your mouth and gently bray; Lift your eats and blow your horn, To wake the world this sleepy morn. বিশৃঙখল বা উল্টো - পাল্টা এলোপাতাড়ি ফটফট দুমদাম শব্দ শুনে কুকুরটা খেয়ে ফেলেছে হাতলের ডগায় বাঁধা ন্যাতা, শূকরছানার তাতে লাগল তাড়া, বিড়ালটি হয়ে গেল দিশাহারা, এলো পাতাড়ি ফটফট দুমদাম শব্দে।

মজার দেশ যোগীন্দ্রনাথ সরকার ( ছোটোদের কবিতা )

 এক যে ছিল মজার দেশ সব রকমের ভাল, রাতে সেথা বেজায় রোদ দিনে চাঁদের আলো আকাশ সেথায় সবুজ বরণ গাছের পাতা নীল, ডাঙয় চলে রুই কাতলা জলের মাঝে চিল।

ফড়িংবাবুর বিয়ে (ছোটদের কবিতা )

ফড়িংবাবুর বিয়ে! টিকটিকিতে ঢোলক বজায় ধুনচি মাথায় দিয়ে। বেহারা হল তেলাপোকা পালকি কাঁধে নিয়ে। দেখতে এল সেজেগুজে পিঁপড়েরা মায়ে - ঝিয়ে। আরে, ফড়িংবাবুর বিয়ে!

পথের পথিক উজ্জ্বলকুমার দাস ( ছোটোদের কবিতা )

 ঝাঁ চকচক রাস্তা বলে যে গাড়িতেই যাই না ট্রাফিক নিয়ম মানতে হবেই যা খুশি তাই চাই না। ইচ্ছেমতন আমার গাড়ি চলবে কেন ভাই রে পথের পথিক বন্ধু আমার তার জুড়ি কেউ নাই রে।

বাংলাদেশ সুভাষ মুখোপাধ্যায় ( ছোটোদের কবিতা )

 আমরা যে বাংলাদেশের            চোখের দুটি তারা মাঝখানে নাক উঁচিয়ে আছে              থাকুক সে পাহারা দুয়ারে খিল টান দিয়ে তাই            খুলে দিলাম জানালা, এপারে সেই বাংলাদেশ             ওপারে সেই বাংলা।

রাত দুপুর শঙ্খ ঘোষ ( ছোটদের কবিতা )

 সেদিন যখন রাতদুপুরে       শুনেছিলে গান বিষ্ণুপুরী কেউ কি তোমার হাতটি ভরে       দেয়নি তুলে পান সুপারি? কিংবা মাঠে ঘুরছিলো না       দিনদুপুরে তিনটি পরী? তাই যদি তো কোন 

চিনাং নদী শক্তি চট্টোপাধ্যায় ( ছোটোদের কবিতা )

 একটি মাসি দুইটি মাসি            তিনটি মাসি কইতো তাদের দেখে চিনাং নদী            দুকুল ছেপে বইতো। বইতো বলেই রইতো কী আর             তাদের দেশের মধ্যে? থাকলে আমি বসিয়ে দিতুম              রুলটানা এই পদ্যে 

নালিশ জয় গোস্বামী ( ছোটদের কবিতা )

 কাঁচড়াপাড়ায় যেতেই আমায়         আঁচড়ে দিল পুষিতে পাকপাড়াতে যেতেই আমায়        ঠোকড়ালো কাক খুশতে। বাগনানে যেই গেছি        আমায় চর মেরেছে বান্দরে। আমবাগানে যেতেই শেয়াল        গান শেখাল কান ধরে।

পাহাড়ের ছড়া বিরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ( ছোটোদের কবিতা )

  পাহাড় পাহাড় পাহাড় রে পাথর সমুদ্দুর, রাত ফুরালেই বাহার রে মুখ ভরা রোদ্দুর। পাহাড় পাহাড় পাহাড় রে পাশাবর্তীর ঘর, রাত ফুরোলেই বাহার রে বুক ভরা ঈশ্বর।

কিনবে নাকি সুকলতা রাও (ছোটোদের কবিতা )

 দিকনগরের বুড়ি এল, তিনটি মেয়ে মুঠোয় ধরে ; একটি সেঁকে, একটি বাড়ে, একটি ভালো রান্না করে, মিহি সুতো কাটতে পারে, ঘরের কাজও করতে পারে ; ও গিন্নিমা, কিনবে নাকি - একটি মেয়ে, আদর করে?

কমলা ফুলি সত্যেন্দ্রনাথ ( ছোটোদের কবিতা )

 কমলা ফুলি, কমলা ফুলি কমলা লেবুর ফুল! কমলা ফুলির বিয়ে হবে কানে মোতির দুল! কমলা ফুলির বিয়ে দেখতে যাবে, ফলার খাবে চন্দনা আর টিয়ে। কোথায় থাকে কমলা ফুলি? সিলেট আমার ঘর। টিয়ে বলে, দেখতে যাব পাখায় দিয়ে ভর।

THE PUMPKIN EATER( children rhymes )

 Peter, peter, pumpkin eater, Had a wife and couldn't keep her, He put her in a pumpkin shell, And there he kept her very well. কুমড়ো খাদক কুমড়ো খাদক পিটার, বউ ছিল একটি যার তাকে রাখার জায়গা ছিল না তার, শেষে একটা কুমড়োর খোলা তাকে রাখল, সেখানে সে থাকল বেশ ভালো।

বৃদ্ধ সিংহ ও শেয়াল ( ছোটোদের গল্প )

 এক গুহায় এক বৃদ্ধ সিংহ বাস করতো । হঠাৎ তার শরীর অসুস্থ হয়ে পড়লো। জঙ্গল থেকে বেরোনো বন্ধ করে, সে গুহার ভেতরেই দিন কাটাতে লাগলো। পশুরা সবাই এসে তার খবর নিয়ে যেত। সবাই মাঝে মাঝে আসলেও শেয়াল কিন্ত একবারও সিংহের খোঁজ নিতে এলো না। বৃদ্ধ সিংহ তাই সকলের কাছে শেয়ালের কথা জিজ্ঞাসা করতে লাগলো। নেক।ড়ে আর শেয়ালের চিরদিনই বিবাদ ছিল। তাই সুযোগ বুঝে, নেকড়ে একদিন সিংহের কাছে শেয়ালের নামে নিন্দে মন্দ করে বলল - মহারাজ, সে ব্যাটা আপনার কাছে আসবে কি করে! তার আজকাল খুব অহংকার হয়েছে। সে আর আপনাকে পশুরাজ বলে মনেই করে না। এভাবে রোজ শেয়ালের বিরুদ্ধে মনগড়া কথা বলে, নেকড়ে সিংহকে ক্ষেপিয়ে দিতে লাগল। শেয়াল আড়াল থেকে সব কিছু লক্ষ্য করতো।একদিন সে লুকিয়ে গুহার বাইরে কান পেতে নেকড়ের সব কথা শুনলো। তারপর নেকড়েকে জব্দ করার জন্য ফন্দি আঁটতে লাগলো। হঠাৎ তার মাথায় এক দারুন মতলব খেলে গেল। একদিন নেকড়ের কথার মাঝে শেয়াল সেখানে গিয়ে দাঁড়ালো। শেয়ালকে দেখে সিংহ তো রেগে গর গর করতে লাগলো। শেয়াল ভয় না পেয়ে সিংহের কাছে গিয়ে বলল, অপরাধ নেবেন না মহারাজ! এতদিন আপনার খবর নিতে আসতে পারিনি। কারণ রোজ একবার করে খবর নিয়ে গেলেই কতব্য শেষ হয় না।

কাঠুরিয়া ও জলদেবতা ( ছোটোদের গল্প )

 একদিন এক কাঠুরিয়া নদীর ধারে কাঠ কাটছিল। হঠাৎ তার হাত ফলকে কুড়ুলটি নদীতে পড়ে গেল। গরীব কাঠুরিয়া তার একমাত্র সম্বল কুড়ুলটি খুঁইয়ে, মনের দুঃখে কাঁদতে শুরু করল। তার কান্না জলদেবতার কানে গেল। তিনি জল থেকে উঠে এসে কাঠুরিয়াকে জিজ্ঞাসা করলেন - বাছা, তুমি কাঁদছ কেন? কাঠুরিয়া চোখের জল ফেলতে ফেলতে তার দুঃখের কথা সব খুলে বলল। জলদেবতা তার কথা শুনে তাকে সান্ত্বনা দিয়ে, এক ডুবে জল থেকে একটি সোনার কুড়ুল তুলে এনে বললেন - এই নাও, তোমার কুড়ুল। কাঠুরিয়া ভীষণ গরীব হলেও, সে মোটেই লোভী ছিল না।

THERE WAS A RAT( children rhymes)

There was a rat, For went of stairs, Went down a rope To say his prayers. ওখানে একটা ইঁদুর ছিল ওখানে একটা ইঁদুর ছিল, কিন্ত ওখানে কোনো সিড়ি ছিল না, তাই দড়ি বেয়ে নেমে গেল তার প্রার্থনা জানাতে।

ছোটো ইঁদুর ও বিরাট সিংহ ( ছোটোদের গল্প )

 একদিন এক সিংহ জঙ্গলের ভেতর নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছিলো। সেই সময় হঠাৎ একটি ইঁদুর খেলতে খেলতে লাফিয়ে সিংহের গায়ে এসে পড়লো। আচমকা সিংহের ঘুম ভেঙে গেল। সে ইঁদুরের উপর ভীষণ রেগে গেল। তখন খোপ করে ইঁদুরকে চেপে ধরে বলল, তোর এতবড়ো সাহস! তুই অসময়ে আমার ঘুম ভাঙালি। তোকে আর ছাড়ছি না। আজ আমি তোকে খেয়েই ফেলবো। এই বলে সিংহ হাঁ করল। ইঁদুর তাই দেখে হাত ঝোড় করে, মিনতি করে বলল, মহারাজ আমায় খাবেন না। আমি না বুঝে খেলতে গিয়ে, মহা অন্যায় করে ফেলেছি। দয়া করে আমায় ক্ষমা করে আমার প্রাণ ভিক্ষা দিন। আমি ঠিক একদিন আপনার এই ঋণ শোধ করে দেব। ইঁদুরের কথা শুনে সিংহ হেসে বলল - তুই ঐটুকু ছোট্ট একটা প্রাণী হয়ে, কি করে আমার ঋণ শোধ করবি? তুই তো নিজেই দুর্বল। কোথায় কখন বেঘরে মারা পড়বি তার ঠিক নেই। তখনকার মত সিংহ ইঁদুরের 

RING-A-RING O'ROSES

 Ring-a-ring o' roses, A pocket full of posies, A- tishoo! A- tishoo! We all fall down. The cows are in the meadow, Lying fast asleep A- tishoo! A- tishoo! We all get up again. রিং - এ - রিং ও ' রোজেস গোলাপগুলি বৃত্তাকারে রয়েছে, পকেট ভর্তি গুচ্ছ গুচ্ছ ফুল, এ- টিশু! এ - টিশু! আমরা সকলে পড়ে গেলাম। গোরুগুলি রয়েছে সবুজ ঘাসে ভরা মাঠে, খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ছি এ - টিশু! এ - টিশু! আমরা আবার উঠে পড়েছি।

LITTLE BIRD( chid rhymes)

 Once I saw a little bird Come hop, hop, hop, And I cried, "Little bird, Will you stop, stop, stop?" I was going to the window To say, "How do you do?" But he shook his little tail And away he flew. ছোট্ট পাখি একবার আমি দেখেছিলাম একটা ছোট্ট পাখি সে লাফাতে লাফাতে এসেছিলো, আমি চিৎকার করে বলেছিলাম "ছোট্ট পাখি, তুমি থামবে, থামবে, থামবে কি? আমি যাচ্ছিলাম জানালার দিকে ওকে একথা বলতে "তুমি কেমন আছো?" কিন্তু সে তার ছোট্ট ল্যাজ নাড়লো আর উড়ে চলে গেল।

ব্যাধ ও হরিণ (ছোটোদের গল্প )

  একদিন এক হরিণের ইচ্ছা হল, সে আঙুর লতার কচি পাতা খাবে। হরিণ সেই মতো তার নিজের জঙ্গল ছেড়ে, একটু দূরে, আঙুর বনের দিকে যেতে লাগল। কিছুদূর যেতেই এক ব্যাধ তাকে দেখে ফেললো। ব্যাধ তাকে শিকার করবার জন্য তেড়ে আসতেই, হরিণটা আঙুর বনের ভিতরে গিয়ে লুকিয়ে পড়লো। ব্যাধ তখন হরিনের পেছন পেছন তারা করে, আঙুর বনের মধ্যে ঢুকে হরিনকে খুঁজতে লাগলো।এভাবে বেশ কিছক্ষন কেটে গেল। হরিণটি ব্যাধকে আর না দেখতে পেয়ে নিশ্চিন্ত হলো। আঙুর গাছের কচি পাতা আর ডগা দেখে তার ভীষণ লোভ হলো। সে আর চুপ করে থাকতে পারলো না। ব্যাধের কথা ভুলে গিয়ে সে আঙুর লতার কচি কচি পাতা আর ডগা ছিঁড়ে ছিঁড়ে খেতে লাগলো। এদিকে ব্যাধ আঙুর বনের মধ্যে হরিনকে তন্ন তন্ন করে খুঁজতে লাগলো। হরিনকে কোথাও না পেয়ে শেষে হতাশ হয়ে ফিরে আসতে লাগলো। ঘন একটা আঙুর ঝোপের পাশ দিয়ে আসার সময় হঠাৎ ব্যাধের কানে এলো একটা শব্দ। কাঁচর - মচর করে কেউ যেন কিছু চিবিয়ে খাচ্ছে। ব্যাধ বুজতে পারলো, হরিণটা নিশ্চই আশেপাশে কোথাও আছে। সে কিছুক্ষন চুপ করে দাঁড়িয়ে শব্দটা শুনলো।ব্যাধ তখন বুঝতে পারলো, হরিণটা তার সামনেই ঘন ঝোপটার মধ্যে লুকিয়ে লুকিয়ে আঙুর গাছের পাতা খাচ্ছে। সে তীর ধনুক নিয়ে তৈরী

ছাগল ও চতুর শেয়াল ( ছোটোদের গল্প )

  একদিন এক শেয়াল তেষ্টায় কাতর হয়ে, এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করে, একটু জলের সন্ধান করছিলো। কিন্তু প্রখর রোদে সব কিছু শুকিয়ে যাওয়ায়, সে কোথাও একটু জলের খোঁজ পেল না। শেষে এক পড়া বাড়ির কাছে এসে সে একটা ছোট্ট পাতকুঁয়ো দেখতে পেল। অনেকদিন পড়ে থেকে সেটি মজে গিয়েছে। তাতে জল আছে, তবে খুব সামান্য। শেয়ালের এত জল তেষ্টা পেয়েছিলো যে, সে আর ভালমন্দ বিচার না করেই লাফ দিয়ে নেমে পরল কুঁয়োর মধ্যে। তারপর সে প্রাণ ভরে পান করল কুঁয়োর ঠান্ডা জল। এরপর শেয়াল পরল বিপদে। জল পান করে সে কিছুতেই কুঁয়োর উপর উঠতে পারল না। বারবার লাফলাফি করে অনেক চেষ্টা করল, কিন্ত তবুও সে উপরে উঠে আসতে পারল না। অবশেষে গলা - জলে দাঁড়িয়ে ভাবতে লাগল, কি করে কুঁয়োর মধ্যে থেকে বাইরে আসা যায়। এমন সময় একটি তৃস্নাত ছাগল জলের খোঁজে, সেই পাতকুঁয়োর সামনে এসে উপস্থিত হল।সে কুঁয়োর ভেতর উঁকি মারতেই দেখলো, শেয়াল সেখানে দাঁড়িয়ে। ছাগল মনে মনে ভাবল - সে বুঝি প্রাণ ভরে জল খেয়ে, ঠান্ডা জলে স্নান করছে। সে শেয়ালকে ডেকে বলল, ও ভাই শেয়াল! তুমি তো দেখছি বেশ জল খেয়ে মনের আনন্দে স্নান করছো। আর আমি একটু জলের জন্য, সেই কখন থেকে ঘুরে মরছি। তা ভাই শেয়াল, কুঁয়োর জলটা কেমন

ছোটদের কবিতা ( নীলে ঘোড়া শামসুর রহমান )

 নীলে ঘোড়া, নীলে ঘোড়া পক্ষীরাজের ছা, মেঘ ডুমাডুম আকাশ পারে, তথ্ই তথ্ই তা। মেঘের  দোলায় চাললি কোথায়, কোন সে অচিন গাঁ? আয় না নেমে গালির মোড়ে করবে না কেউ রা।