Skip to main content

Posts

Showing posts from November, 2022

হাসির ছড়া লীলা মজুমদার (ছোটদের কবিতা )

 ব্যাঙের মাসি বেজায় খুশি আজ নাকি তার বিয়ে? বড় আসছে গাড়ি চড়ে ছাতা মাতায় দিয়ে। চাকা গেল ফেটে, বড় গেল চটে এখন তুমি করবে কী ঘোঙর ঘোঙর ডাকবে কী?.

হাতেখড়ি স্বপন বুড়ো ( ছোটোদের কবিতা ))

 আজ সকালে সানাই বাজে খোকার হাতেখড়ি, সবাই বলে চলনা ছুটে পাড়ি কী ভাই মারি। খোকা বলে চুপ করো সব কিসের হাতেখড়ি? মহাকাব্য লিখছি বসে আগে তো শেষ করি।

HPO A LITTLE ( child rhymes )

 Hop a little, jump a little, One, two, three; Run a little, skip a little, Tap, tap one knee; Bend a little, stretch a little, Nod your head; Yawn a little, sleep a little  In your bed. .এক পায়ে একটু লাফাও এক পায়ে একটু লাফাও, দুই পায়ে একটু লাফাও এক, দুই, তিন ; একটু দৌড়োও, একটুখানি দৌড়ে পার হয়ে যাও হাঁটুতে অল্প একটু আঘাত করো একটুখানি নত হও, একটুখানি প্রসারিত করো আর মাথাটাকে নাড়াও একটুখানি হাই তোলো, একটু খানি ঘুমিয়ে নাও তোমার বিছানায় 

( ছোটোদের ছোড়া ) বৃষ্টি প্রেমেন্দ্র মিত্র

  এক বৃষ্টি তেষ্টা মেটায়  মানুষ আমার মাটির , আর বৃষ্টি দেশ ভাসায়, ছাপায়ে নদীর তীর। কোন বৃষ্টি চাও? যে বৃষ্টি ফলায় ফলায়  বাজ যা আনে তাও?

সিংহী ও শিশুকন্যা ( ছোটোদের গল্প )

 একদিন রাতে এক সিংহী বন থেকে  বেরিয়ে গ্রামের পথ দিয়ে হাঁটছিল। এমন সময় সিংহী দেখলো, এক বাড়ির উঠোনে ফুটফুটে একটি শিশুকন্যা একা একা শুয়ে কাঁদছে। তাই দেখে সিংহীর খুব মায়া হল। সে শিশুটিকে না খেয়ে, মুখে করে বনে নিয়ে গেল। সিংহীর নিজের দুটো বাচ্ছা ছিল। সে তাঁর নিজের বাচ্চাদের মতই শিশু কন্যাটিকে ও খুব যত্নে, তার দুধ খইয়ে বড় করতে লাগল। একটু বড় হলে, সে সিংহীর বাচ্চাদের সাথে, বনের মধ্যে খেলা করে বেড়াতে লাগল। মেয়েটিকে দেখে বনের অন্যান্য পশুদের খুব লোভ হত। কিন্ত সিংহীর ভয়ে তারা মেয়েটিকে খেতে সাহস পেত না। এই ভাবে একদিন সিংহী বাচ্চা দুটির সাথে সাথে মেয়েটিও বড় হয়ে গেল। সিংহীরও অনেক বয়স হল। সে তখন সবসময় মেয়েটিকে নিয়ে ভাবে - তাঁর মৃত্যুর পর কে দেখবে তাকে। সে না থকালে বোনের পশুরা তাকে ছিঁড়ে খেয়ে ফেলবে। মেয়েটি ভাবনায় সিংহীর আহার নিদ্রা চলে গেল। অনেক চিন্তা ভাবনার পর মনস্তির করল যে, মেয়েটিকে তার বাবা - মায়ের কাছেই ফিরিয়ে দেবে। সেখানেই সে নিরাপদ। মেয়েটি সিংহীর কথা শুনে খুব কাঁদতে লাগল। সে সিংহীকে ছেড়ে কিছুতেই যেতে রাজী হল না। সিংহী  তাকে অনেক বোঝাল। তারপর ঝোপের আড়াল থেকে একটা চেন ও লকেট মেয়েটিকে দিয়ে বলল, এট

পোষা কুকুর ও নেকড়ে ( ছোটদের গল্প )

  একদিন গৃহস্তের পোষা কুকুরদের সঙ্গে কয়েকটা নেকড়ে দেখা হল।তারা কুকুরদের ডেকে বলল, ওহে ভাই সকল। তোমাদের সব কিছুই তো আমাদের মতো। তবু কেন তোমাদের সঙ্গে আমাদের এত বিবাদ? কেন এমন শত্রুর মত আচরণ করি। তবে তোমাদের সাথে আমাদের অবশ্য তফাৎ একটা আছে। সে হল চিন্তা আর ভাবনার। কুকুরেরা হাঁ করে নেকড়েদের কথা শুনে বলল, সেটা আবার কি রকম? নেকেড়েরা বলল, আমরা  স্বাধীনভাবে থাকতে। আর তোমরা চাও মানুষের চাকর হয়ে থাকতে। তোমরাও যদি আমাদের মত স্বাধীন হয়ে থাকতে চাইতে, তাহলে তো মানুষেরা তোমাদের গলায় শেকল পড়াতে পারতে না। দু - মুঠো খাবারের জন্য তোমরা সারারাত ধরে তাদের হাস - মুরগি - ছাগল - ভেড়া সব পাহারা দাও।একি কম অপমানের ভাই? মানুষেরা কত ভালো ভালো খাবার খায়। খাওয়ার শেষে তাদের পাতে যা এটো - কাঁটা পরে থাকে, তাই তোমরা মনের আনন্দে লেজ নাড়তে খাও। এসব তোমরা পার, কিন্তু আমরা পারি না। এটাই হল তোমাদের সঙ্গে আমাদের তফাৎ। কেন তোমরা এই অপমান সহ্য করবে ?কুকুরেরা নেকড়েদের সব কথা মন দিয়ে শুনল। তারপর একটু গম্ভীর হয়ে বলল, তোমরা তো সব ঠিক কথা বলছো ভাই। এখন তাহলে আমাদের কি করা উচিত? নেকেড়ারা বলল - যারা তোমাদের এত অপমান করে, তাদের বাড়িত

বক ও সারস ( ছোটোদের গল্প )

  এক দল বক রোজ এক কৃষকের ক্ষেতে এসে ধান খেয়ে যেত। কৃষক বক তাড়াবার জন্য অনেক রকম চেষ্টা করল। কিন্তু কিছুতেই তাদের সঙ্গে পেরে উঠল না। দিন দিন বকেদের বারবারন্ত বেড়ে চলল। তারা সবাই দল বেঁধে ঝাঁকে ঝাঁকে কৃষকের জমিতে নেমে, ফসল খেয়ে, তার সর্বনাশ করতে লাগল। কৃষক বকেদের তাড়াতে মাঝে মাঝে দমাদম্ম কেনেস্তারা পেটাত। কিন্তু আজ কাল আর তাতেও কোনো কাজ হচ্ছে না। ঢিল ছুড়লে, একটু সরে বসে আবার খেতে শুরু করত। বকেদের দিন দিন শাসন সাহস বেড়ে যাওয়ায় কৃষক খুব দুশ্চিন্তায় পরল। কৃষকের দুরবস্থা দেখে একদিন তার বন্ধু বলল, ভেবে কিছুই হবে না ভাই। ওদের যা সাহস দেখছি, তাতে খালি কেনেস্তারা আর ঢিল কিছুই হবে না। তুমি যদি তোমার কষ্টের ধান সত্যি সত্যি বাঁচাতে চাও, তাহলে জমিতে ফাঁদ পেতে রাখ। তাহলে বকের ঝাঁকটাকেই ধরতে পারবে।বন্ধুর কথামতো কৃষক পরেরদিন সকালেই তার জমিতে ফাঁদ পেতে রাখল। একটু বেলা হতেই বকের দল ঝাঁক বেঁধে উড়ে এসে কৃষকের জমিতে নামল। আর সঙ্গে সঙ্গে কৃষকের পাতা ফাঁদে সবকটি বক আটকা পরল। সেদিন বকেদের ঝাঁকে একটি সারস পাখিও ছিল। সংদোষে সেও সেদিন বকেদের সাথে বন্দী হল। বকের দল ফাঁদে আটকা পড়েছে দেখে কৃষক লাঠি হাতে তেড়ে এলো। সা

ব্যাঙ ও বালকের খেলা (ছোটোদের গল্প )

  একদিন দুই রাখাল বালক মাঠে এলো গরু চরাতে। কিছুক্ষন পর তারা গরুগুলিকে মাঠে ছেড়ে দিয়ে পাশের একটা পুকুর - পারে গাছের ছাওয়ার এসে বসলো। তারপর দুজনে মিলে পুকুরের জলে ঢিল ছোঁড়াছুঁড়ি খেলা করতে লাগল। সেই পুকুরে বাস করতো অনেক গুলো ব্যাঙ। তারা রাখাল বালকদের ছোড়া ঢিলের আঘাতে জখম হতে লাগল। রাখাল বালক - দুটির কিন্তু সে - সব নজরে পরল না। তারা মনের আনন্দে পাল্লা দিয়ে পুকুরের জলে অনাবরত ঢিল ছুড়তে থাকলো। বাঙগুলো প্রাণের ভয়ে পুকুরের জলে ছুটোছুটি করতে লাগলো। ঢিলের আঘাতে তাদের কারো হাত, কারো পা ভাঙলো। কারো মাথা ফাটলো। কয়েকটা তো ইটের ঘায়ে মারা গেল। তবু রাখাল বালক - দুটি ঢিল ছোঁড়াছুঁড়ি খেলা বন্ধ করল না। শেষে কোনো উপায় না দেখে, পুকুরের এক বুড়ো ব্যাঙ সাহস করে বালক দুটির কাছে এসে বলল - ওগো ছেলেরা তোমরা শুধু শুধু কেন এমন করে পুকুরের জলে ঢিল ছুঁরছো? আমার যে সবাই মরতে বসেছি। ব্যাঙের কথায় কোনো আমল দিল না ছেলে দুটি। তারা একমনে ঢিল ছুঁড়ে খেলা করতে লাগল। এবার বুড়ো বাঙটির সাথে আরও কয়েকটি ব্যাঙ এক হয়ে চীৎকার করে বলল, ওগো ছেলেরা! তোমরা আর পুকুরের জলে ঢিল ছুঁড়ো না। তোমাদের ছোঁড়া ঢিলে আমাদের ছেলেমেয়েরা সব মারা যাচ্ছে। এবা

JINGLE BELLS

 Jingle bells, Jingle bells Jingle all the way. O what fun it is to ride  In a one- horse open sleigh. ঘন্টা বাজে ঝনঝন ঘন্টা বাজে ঝনঝন, ঘন্টা বাজে ঝনঝন সমস্ত পথ ধরে কী মজা, কী মজা চড়তে এক - ঘোড়ায় টানা খোলা স্লেজে 

বুদ্ধির জয় ( ছোটোদের গল্প )

 এক বনে এক সিংহ বাস করত। সে যথেচজভাবে পশু মারতো। যত না খেতো, তার চেয়ে বেশি মেরে ফেলতো। একদিন বনের সব প্রাণীরা সভা করে ঠিক করল, প্রতিদিন সিংহের খাবারের জন্য একটা করে পশু তার কাছে পাঠাবে। এর ফলে খাবারের খোঁজে সিংহেরও কষ্ট হবে না। আর বেশি পশুও মারা পড়বে না। এক বৃদ্ধ শেয়াল সিংহকে গিয়ে এই প্রস্তাব দিল। সিংহ এই প্রস্তাবে রাজী হল। প্রস্তাবটা মন্দ নয়। তাকে আর প্ররিশ্রম করে খাবার জোগাড় করতে হবে না। বিনা পরিশ্রমে খাবার পাওয়া যাবে। প্রতিদিন একটা করে পশু পালা করে ঠিক সময় মত সিংহের গুহায় এসে হাজির হয়।সিংহ তাকে মেরে খেয়ে আরামে দিন কাটায়। একদিন এক বৃদ্ধ খরগোসের পালা এল। সে কী আর করে? যেতে তো তাকেই হবে। নিয়ম তো তারাই করেছে। খরগোস খুব ধীর গতিতে এগোতে লাগল। সময় উত্তীর্ণ হয়ে যায়। এদিকে সিংহ তো খিদের জ্বালায় অস্থির। সে খরগোস কে দেখা মার্ত্র গর্জন করে ওঠে। " তোর এত সাহস ', তুই এত দেরি করে এলি। " খরগোসের তখন ফন্দি আটা হয়ে গেছে। মৃত্যুর মুখে একেবার শেষ চেষ্টা করে দেখা যাক, বাঁচা যায় কিনা। খরগোসটি ভয়ের ভান করে কাঁদতে কাঁদতে বলল, " মহারাজ অধমের অপরাধ নেবেন না। পথে আপনার মত আর একটা সিংহ আমাকে

(ছোটোদের গল্প )দাম্ভিক ব্যাঙ

  একদিন এক জলাশয়ে একটি ব্যাঙ মনের অনন্দে সাঁতার কাটছিল। সেই সময় জলাশয়ের পাশের মাঠে চড়ছিল একটি ষাঁড়। তাকে দেখে ব্যাঙ ভাবল, একটু চেষ্টা করলে হয়ত আমিও ওর মত বড় হতে পারি। ব্যাঙ তখন তার ছোটো শরীরটা ষাঁড়ের মত বড় করার জন্য দম নিতে লাগল। সেই জলাশয়ের পাড়েই তখন খেলা করছিলো দুটি ছেলে। দম নিয়ে যখন ব্যাঙের শরীর সামান্য একটু ফুলে বড় হল, সে তখন ছেলে দুটিকে ডেকে বলল, ওহে বালকেরা!তোমরা আমায় ভালো করে একবার দেখে বলতো - ওই ষাঁড়টা বড়, নাকি আমি বড়? ব্যাঙের কথা শুনে ছেলে দুটি হাসবে না কাঁদবে বুঝে উঠতে পারল না। তাদের মধ্যে একজন বলল আরে দূর! কি যে বল তুমি। কথায় ব্যাঙ আর কথায় ষাঁড়। তুমি কোনোদিন ষাঁড় এর মত বড় হতে পারবে না। ছেলেদের কথা শুনে ব্যাঙ ভীষন চটে গেল। সে তখন রেগেমেগে আরও বেশি বেশি দম নিয়ে শরীরটাকে ফোলাতে লাগলো। তার পেটটাও বেশ টানটান হয়ে সে আবার ছেলে দুটিকে দেখে বলল, ওহে বালকেরা! এবার ভাল করে দেখে বলো দেখি, কে বড়? আমি, না ঐ ষাঁড়টা! ছেলে দুটি এবার ব্যাঙের কথায় খুব মজা পেয়ে হোঁ হোঁ করে হেঁসে উঠল। তারপর হাসি থামিয়ে রসিকতা করে বলল, ষাঁড়টা এবার তোমার চেয়ে হয়তো সামান্য একটু বড় হবে। আর একটু চেষ্টা করলেই তুমি ষাঁ

ONE, TWO, BUCKLE MY SHOE

 One, two buckle my shoe; Ttree, four, shut the door; Five, six, pick up stick; Seven, eight, lay them straight; Nine, ten, a good fat hen. এক, দুই, বকলস লাগাও আমার জুতোয় এক, দুই, বকলস লাগাও আমার জুতোয় ; তিন, চার, বন্ধ করো দরজা ; পাঁচ, ছয়, লাঠিগুলো কুড়িয়ে নাও ; সাত, আট, রাখো সেগুলোকে সোজা ; নয়, দশ, একটা ভালো মোটা মুরগি।

স্বাধীমতার সুখ (রাজনীকান্ত সেন )

  বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই 'কুঁড়ে ঘরে থেকে করো শিল্পের বড়াই! আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে, তুমি কত কষ্ট পাও রোদ বৃষ্টি ঝড়ে! বাবুই হাসিয়া কহে - সন্দেহ কি তায়, কষ্ট পাই, তবু ভাই নিজের বাসায়। পাকা হোক, তবু ভাই পরের ও - বাসা,  নিজে হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর খাসা!

LITTLE BO- PEEP(child rhyme )

 Little Bo-peep Has lost her sheep, And can't tell Whete to find them; Leave them alone, And they will come home, Bringing their tails Behind them. ছোটো বো -পীপ ছোটো বো -পীপ হারিয়েছে তার মেষ, বলতে সে পারে না কোথায় পাবে তাদের খোঁজ ; একা একা তাদের রাখো ছেড়ে, তারা আসবে বাড়ি ফিরে, তাদের ল্যজ গুলোকে সঙ্গে নিয়ে।

WHAT I CAN DO ( child rhyme)

 Two little heands to Clap, clap, clap, Two little legs go Tap, tap, tap. Two little eyes are Open wide, One little head goes Side to side. আমি কী করতে পারি ছোটো ছোটো হাত দুটো দেয় হাতে তালি, ছোটো ছোটো পা দুটো মৃদু শব্দে চলে ছোটো ছোটো চোখ দুটো খোলা আছে বড়ো বড়ো করে ছোটো একটা মাথা এপাশ - ওপাশ নড়ে।

জলপাই গাছ তার নলখাগড়া (ছোটোদেরগল্প )

 এক সকালে জোর জোর হওয়া বইছিলো। হওয়া দাপটে নলখাগড়ার বন এদিক ওদিক, হেলে-দুলে শুয়ে পড়ছে দেখে, পাশে এক জলপাই গাছের মনে খুব অহংকার হল। সে মজা করে নলখাগড়াদের ডেকে বলল, ওহে! তোমাদের এই দুরাবস্থা দেখে আমার বড্ড মায়া হচ্ছে। বরই দুর্বল তোমাদের শরীর। একটু জোরে হওয়া বইলেই তোমাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না। সবাই মাথা নুইয়ে কেমন মাটিতে লুটিয়ে পড়ো। এখন আমাকে দেখো তো!কেমন মাথা উঁচু করে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। ওই হওয়া আমার কোনোদিন কিছুই করতে পারবেনা। নলখাগড়ারা চুপ করে, জলপাই গাছের   সমস্ত কথাই শুনল। কেউ কোনো জবাব দিল না নলখাগড়ারদের চুপ করে থাকতে দেখে, জলপাই গাছের অহংকার আরো দ্বিগুন বেরে গেল। সে তখন বড়াই করে নিজের কথা আরো বেশি করে বলতে লাগল। সে নাকি কোনোদিন হওয়া বাতাসকে গ্রাহ্য করে না। যতই ঝড়ঝাপটা আসুক না কেন ;সে চিরদিন মাথা উঁচু করে শক্ত হয়েই দাঁড়িয়ে থাকবে। জলপাই গাছের এই সব কথা শুনেও নলখাগড়ারা কেউ কিছু বলতে সাহস করল না। চুপ করে সব কথা শুনল। খানিক বাদে হটাৎ কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে গেল। সেই সঙ্গে শুরু হলো ঝোড়ো হওয়া। প্রথমে হওয়ার বেগ আস্তে হলেও, ক্রমশ তা বাড়তে লাগল। এক সময় সো -সো শব্দ করে ঝড় উঠল। হওয়ার দাপটে নলখাগ

ছোটদের গল্প (এক বৃদ্ধ কৃষক ও তার পুত্ররা )

 এক গ্রামে এক কৃষক ছিল। এখন সে বৃদ্ধ হয়েছে। তার চারপুত্র ছিল। তারা সব সময় নিজেদের মধ্যে ঝগড়া মারামারি করত। তিনি তাদের মারামারি করতে মানা করলেও কোনো ছেলেই তার কথা শুনত না। এই কারণে সেই বৃদ্ধ কৃষকের মনে শান্তি ছিল না। তিনি মনে মনে এক ফন্দি আঁটলেন। তিনি একদিন ছেলেদের কতকগুলি কঞ্চি আনতে বললেন। ছেলেরা অনেকগুলি কঞ্চি কেটে আনলে তিনি সেইগুলোকে  একত্রে বাধঁতে বললেন। এরপর তিনি বড়ো ছেলেকে ভাঙতে বললেন। কিন্তু সে পারল না। বাবার আদেশ মত একে একে অন্যান্য ছেলেরাও ভাঙতে চেষ্টা করল, কিন্তু কেউই আঁটিটা ভাঙাতে পারল না। তখন তিনি বড়ো ছেলেকে আঁটি খুলে ফেলতে বললেন। সে তা খুলে ফেলল বৃদ্ধ কৃষক তার ছেলেদের একটি করে কঞ্চি নিতে বললেন। প্রত্যেকেই একটি করে কঞ্চি নিল। সবাই সহজেই ভেঙে ফেলল। তখন তিনি ছেলেদের সবাইকে কাছে ডাকলেন ছেলেরা কাছে এলে তিনি বললেন, " দেখলে বাছারা, ঐ কঞ্চির আঁটির মত তোমরা যতদিন একসঙ্গে থাকবে, ততদিন কেউ তোমাদের ক্ষতি করতে পারবে না। কিন্ত যেই তোমরা আলাদা হয়ে পড়বে অমনি তোমাদের ওপর শত্রু আক্রমণ করবে। কাজেই তোমরা এখন থেকেই মিলেমিশে থাকবে। একসঙ্গে থাকলে কেউ তোমাদের ক্ষতি করতে পারবে না।" নীতিকথ

ছোটদের গল্প (ইঁদুর ও ব্যাঙ )

 একুরের এক ব্যাঙের সঙ্গে মাঠের এক ইঁদুরের খুব ভাব ছিল। তারা একসঙ্গে গল্প করতে করতে খাবার খুঁজে বেড়াতো। দু -জন যেন এক প্রাণ আর এক আত্মা। দুই বন্ধুর মধ্যে ইঁদুর ছিল সহজ সরল প্রকৃতির। আর ব্যাঙ ছিল একটু অন্য রকমের। সে মাঝে মাঝে ইঁদুরকে জব্দ করে বেশ মজা করত। একদিন দুই বন্ধুতে একটি মাঠে খাবার খুঁজে বেড়াছিল।মাঝে মাঝে তারা খাবার খুঁজতে খুঁজতে দু -জন দুদিক চলে যাচ্ছিল। ব্যাঙ বলল -বন্ধু, আমরা মাঝে মাঝেই দুজন দুদিকে সরে যাচ্ছি। সেই জন্য আমাদের গল্প ঠিক জমছেনা। আমরা বরং এক কাজ করি। আমরা একটা পায়ের সঙ্গে তোমার একটা পা বাঁধে দিই। তাহলে আমরা আর ছাড়াছাড়ি হব না। বিপদ এলেও এক সাথে পালাতে পারব। ইঁদুর অতশত ভাবল না। সে ব্যাঙের কথায় রাজী হয়ে গেল।ব্যাঙের পায়ের সঙ্গে নিজের পা বেঁধে নিয়ে আবার চলতে লাগল। কিছুদূর যাবার পর তারা একটি পুকুরের কাছে এসে পৌঁছল। পুকুরে জল দেখে ব্যাঙের ভারী আনন্দ হল। সে আনন্দে গ্যাঙর গ্যাং করে ডেকে বলল -ইঁদুর ভাই। চল একটু পুকুরে সাঁতার কেটে নিই। এই বলে ব্যাঙ ঝপাং করে লাফিয়ে পরল পুকুরের জলে। ইঁদুর বেচারা কি আর করে।পা -বাঁধা অবস্থায় সেও ব্যাঙের সঙ্গে জলে পড়ে হাবুডুবু খেতে লাগল। ব্যাঙ মনের

শ্রী শ্রীরামকৃষ্ণদেব

সূচনা :-আঠারো দশকে অনেক প্রতিভা শীল মানুষের আবির্ভাব ছিল।তাঁদের  মধ্যে একজন একজন শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেব। জন্ম ও বংশ পরিচয় :- শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেব ১৮৩৬ সালে ১৭ই ফেব্রুয়ারী হুগলী জেলার আরবাগ মহাকুমার কামারপুকুরে এক ব্রাক্ষণ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় এবং মাতার নাম চন্দ্রমণি দেবী। রাম কৃষ্ণের প্রকৃত নাম গদাধর। ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়ের ইনি কনিষ্ঠ পুত্র। শিক্ষা জীবন :- কামারপুকুরেরই গ্রাম্য পাঠশালায় শিক্ষা শুরু হলে ও রামকৃষ্ণদেব পড়াশুনায় বেশীদূর এগোতে পারেননি। কর্ম জীবন :- বাল্যকালেই নিজেদের গৃহদেবতা রঘুবীরের সেবা ও পূজা শুরু করেন। এই সময়ে তাঁর পিতার মৃত্যুর পর তিনি তাঁর দাদার সঙ্গে কলিকাতায় চলে আসেন এবং মধ্য কলিকাতার  ঝামাপুকুরে এক ব্রাক্ষণের বাড়িতে থেকে তাঁদের গৃহদেবতার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। রানী রাসমণি ১৮৫৬সালে দক্ষিণেশ্বরে কালী মন্দিরের পূজারী ও সেবাইত হিসাবে নিযুক্ত করেন। তিনি কালী মন্দিরে সারা দিন পড়ে থাকতেন কালী মূত্তির কাছে। মায়ের সাধনার সময় তার কোনো বাহ্যজ্ঞান থাকত না। তাঁর পূজা - অর্চনার পদ্ধতি স্বাভাবিক সেবাইতের মত ছিল না। অনেক তাঁকে পাগলা ঠাকুর ব

ছোটদের গল্প ( কাক ও কোকিল )

 একদিন এক কাকের সাথে এক কোকিলের আলাপ হল। তারপর থেকে প্রায় তাদের এগাছে ওগাছে দেখা হতে লাগল। আস্তে আস্তে  দুই জনের  মধ্যে বেশ ভাব জমে উঠল।একদিন   কাক বলল - কোকিল ভাই, সব পাখিরাই বাসা বাঁধে, তবে তোমরা কেন বাঁধা না? কোকিল বলতে -আসলে বাসা আমাদের ঠিক ভাল লাগে না, তাই আর কি। কাক বলল , না ওসব হবে না। আমি তোমাকে  বাসা বানানো শিকিয়ে দেব। আমার বাসার পাশেই থাকবে তোমার বাস। তাহলে সব সময় আমার দুজন কাছাকাছি থাকতে পারব। কোকিল কাকার কথায় রাজী হল। তারপর কাক কোকিলকে বাসা বাঁধা শেখাতে লাগল । কাক বার বার দেখিয়ে দিতে লাগল । কোকিল তবু কিছু ঠিক মত বাসা বাধঁতে পারল না। বারবার তার মুখ থেকে খঁড়কুটো পড়ে যেতে লাগল। কাক কোকিলের বাসা বানানো দেখে হেসে মরে যায় আর কি। কোকিল ও সেই ফাঁকে বোকা কাকের চোখ এড়িয়ে, তার বাসায় ডিম পেড়ে এসে বলল, দেখো ভাই কাক! আসলে এই বাসা বাঁসার কাজটা আমাদের কোকিল জাতের একবারে নেষেধ। আমার পূর্ব - পুরুষরা কেউ কোনদিন এই কাজ করেনি। আজ আমি যদি সেই কাজ করি, তাহলে কোকিল সমাজ আমায় এক ঘরে রাখবে। কেউ আর আমার সঙ্গে মিশবে না। তার চেয়ে আমার এই যাযাবর জীবনই অনেক ভাল ভাই। তোমরা থাক তোমাদের বাসা আর ডিম নিয়ে

চাঁদের বুড়ি ( রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর )

 এক যে ছিল চাঁদের কোনায় চরকা কাটা বুড়ি, পুরণে তার বয়স লেখা সাতশ হাজার কুড়ি। সাদা সুতোর জাল বোনে সে হয় না বুনোন সারা, পণ ছিল তার, ধরবে জালে হাজার কোটি তারা।

THANK YOU GOD

 Thank you God, For sleep through the night. Thank you, dear god, For the glad morning loght. হে ঈশ্বর, আপনাকে ধন্যবাদ হে ঈশ্বর, আপনাকে ধন্যাবাদ, সারারাতের ঘুমের জন্য। হে প্রিয় ঈশ্বর, আপনাকে ধ্যনবাদ, আনন্দময় প্রভাতী আলোর জন্য।

ছোটদের কবিতা /ছড়া বউচুরি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 সুরেশ্বরের মজা ভারি, কাঠবেড়ালের বউচুরি। বুড়ো আংলা মানুষ এলো, দুটো বাচ্চা দিয়ে গেলো। মহান্ত ঠাকুর বড়ো দয়াল। খাঁচা খুলে ছেড়ে দিলে বাচ্চা সমেত কাঠবেড়াল।

ছোটদের গল্প (বলদ গাধা ও লবণের বস্তা )

 এক বণিকের লবণের ব্যবসা ছিল।সে হাটে হাটে ঘুরে ঘুরে লবন বেচাকেনা করতো। একটি গাধা তার সঙ্গে সঙ্গে লবণের বোঝা বয়ে  বেড়াত।একদিন বণিক গাধার পিঠে বেশ ভারী এক লবণের বোঝা চাপিয়ে দিল।সেই বোঝা পিঠে নিয়ে গাধা বেশ কষ্ট হচ্ছিল।পথে যেতে যেতে একটি নালা পড়লো। সেই নালার উপর একটি সাঁকো ছিল। গাধা অনেক কষ্টে সেই সাঁকোর উপর গিয়ে উঠল।তারপর কয়েক পা এগোতেই সাঁকোর একটি পচা কাঠ ভেঙে পড়লো। গাধা ও লবণের বোঝা নিয়ে ঝপাং করে পড়লো নালার জলে।বণিক গাধার পিছনে ছিল।সে দৌড়ে গিয়ে অনেক কষ্টে গাধাকে নালা থেকে টেনে তুলল।ততক্ষনে নালার জলে অনেকটা ভিজে গলে গেল।

লোভী নেকড়ে (ছোটদের গল্প )

 একদিন এক নেকড়ে জঙ্গলের পিছন দিকে ঝর্নার জল খেতে গেল। এমন সময় তার নজরে পরল -একটু দূরে নীচের দিকে এক ভেড়ার ছানা জল খাচ্ছে। ভেড়ার ছানাকে দেখে নেকড়ের ভীষণ লোভী হল। এমন হৃস্টপুষ্ট ভেড়ার ছানা এর আগে সে কখনো দেখেনি। লোভে নেকড়ের জিভ দিয়ে জল গড়াতে লাগল। কিন্ত তাকে খাবে কি করে? বিনা দোষে তো আর কাউকে মারা যায় না। নেকড়ে অনেক চিন্তা ভাবনা করে একটা মতলব বের করল। তারপর পায়ে পায়ে ভেড়ার ছানটির কাছে এগিয়ে গিয়ে তাকে ডেকে বলল, ওরে হতভাগা পুচকে ভেড়া!তোর দেখছি আক্কেল বলে কিছুই নেই। দেখছিস আমি উপরে জল খাচ্ছি। তুই কোন সাহসে আমার জল ঘোলা করছিস? নেকড়ের কথা শুনে ভেড়ার ছানা ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলল, আজ্ঞে নেকড়ে মশাই!আমি তো নীচে জল খাচ্ছি। আর আপনি তো উপরে জল খাচ্ছেন। জল তো উপরের দিকে থেকে নীচে আসছে। তাহলে আমার জল খাওয়ার জন্য উপরের জল কি করে ঘোলা হবে বলুন? নেকড়ে একটু চিন্তা করে দেখল, কথাটা তো সত্যি। সে তো ঠিক কোথাই বলেছে। বাচ্চা হলেও বেশ বুদ্ধি আছে দেখছি। নেকড়ে আবার একটু ভাবে বলল -জল না হয় নাই ঘোলা করেছিস, কিন্তু গেল বছর সেই যে তুই আমায় গালি দিয়েছিলি। মনে আছে তোর? এক বছর আগে তো আমার জন্মই হয়নি। তাহলে কি করে আমি এক বছ

ছোটদের গল্প (এক কৃপণের ধন )

 এক মহা কৃপণ লোক ছিল। একদিন সে তার সমস্ত বিষয় সম্পত্তি বিক্রি করে, শহর থেকে বেশ বড় একটা সোনার দলা কিনে নিয়ে এল। তারপর সেটি ঘরে না রেখে, লুকিয়ে তার বাগানের এক কোণে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে রাখল। এরপর থেকে রোজ সকাল হলেই, সেই কৃপণ তার বাগানে গিয়ে, চুপি চুপি গর্তের মাটি সরিয়ে সোনার দোলাটি দেখে, আবার মাটি চাপা দিয়ে আসত। সোনার দোলাটি ঘরে না রেখে মাটিতে পুঁতে কৃপণ মনে মনে খুব নিশ্চিন্ত হয়েছিল। এই ভাবে তার কেটে গেল অনেক দিন। হটাৎ একদিন সেই কৃপণের বাড়ির ধূত চাকর দেখে ফেলল সেই কান্ড। রোজ সকালে মনিবকে বাগানের মাটি খুঁড়তে দেখে তার ভীষণ কৌতূহল হল। গর্তের ভেতর কি আছে, তা দেখার জন্য সে সুযোগ খুঁজতে লাগল। একদিন কৃপণ কিছু কেনাকাটি করতে শহরে গেল। বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হল। সেই ফাঁকে চাকরটি বাগানে গিয়ে গর্তের মাটি সরিয়ে দেখতে পেল সোনার দলাটি। এতো বড়ো একটি সোনার দলা হাতে পেয়ে চাকরটির ভীষণ লোভ হল। মনিব ফেরার আগেই সে চুপি চুপি সোনার দলাটি নিয়ে পালিয়ে গেল। রোজকার মতো, পরেরদিন সকলে কৃপণ গর্তের কাছে গিয়ে দেখল, গর্ত খালি। সেখানে সোনার দলাটি নেই। কৃপণ বুক চাপড়ে কাঁদতে লাগল। তার কান্না শুনে প্রতিবেশিরা সবাই ছু